পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বর্ষশেষ veరికి যা যাবার জিনিস, তাকে কি আজও আমরা যেতে দেব না ? বছর ভরে যে-সব পাপের আবর্জনা সঞ্চয় করেছি, আজ বৎসরকে বিদায় দেবার সময় কি তার কিছুই বিদায় দিতে পারব না ? ক্ষমা করে ক্ষমা নিয়ে নির্মল হয়ে নব বৎসরে প্রবেশ করতে পাব না ? আজ আমার মুষ্টি শিথিল হোক। কেবল কাড়ব এবং কেবল মারব এই করে কোনো সুখ কোনো সার্থকতা পাই নি । যিনি সমস্ত গ্রহণ করেন আজ র্তার সম্মুখে এসে ছাড়ব এবং মরব। এই কথাটা আমার মন বলুক। আজ র্তার মধ্যে সম্পূর্ণ ছাড়তে, সম্পূর্ণ মরতে, এক মুহূর্তে পারব না ; তবু ওই দিকেই মন নত হোক, নিজেকে দেবার দিকেই । তার অঞ্জলি প্রসারিত করুক, স্থর্যাস্তের স্বরেই বাঁশি বাজতে থাক, মৃত্যুর মোহন রাগিণীতেই প্রাণ কেঁদে উঠুক। নববর্ষের ভার-গ্রহণের পূর্বে আজ সন্ধ্যাবেলায় সেই সর্বভার-মোচনের সমুদ্রতটে সকল বোঝাই নামিয়ে দিয়ে আত্মসমর্পণের মধ্যে অবগাহন করি ; নিস্তরঙ্গ নীল জলরাশির মধ্যে শীতল হই; বৎসরের অবসানকে অস্তরের মধ্যে পূর্ণভাবে গ্রহণ করে স্তব্ধ হই, শাস্ত হই, পবিত্ৰ হই । ৩১ চৈত্র অনন্তের ইচ্ছা আমার শরীরের মধ্যে কতকগুলি ইচ্ছা আছে যা আমার শরীরের গোচর। যেমন আমার খেতে ইচ্ছা করে, স্নান করতে ইচ্ছা করে, শীতের সময় গরম হতে ইচ্ছা করে। -- 缸 কিন্তু, সমস্ত শরীরের মধ্যে একটি ইচ্ছা আছে যা আমার অগোচরেই আছে। সেটি হচ্ছে স্বাস্থ্যের ইচ্ছা । সে মামাকে খবর না জানিয়েই রোগে এবং অরোগে নিয়ত কাজ করছে। সে ব্যাধির সময় २२ .*** լ: