পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

98之 শান্তিনিকেতন যা কেবল ঘটনাবিশেষের মধ্যে ব্যক্ত বটে কিন্তু অনস্তের মধ্যে অব্যক্তরূপে বিরাজমান, সেই জানেই আমাদের আনন্দ ; কেবলমাত্র বিচ্ছিন্ন তুচ্ছ খবরে নিতান্ত জড়বুদ্ধি অলস লোকের বিলাস । ক্ষণিক আমোদ বা ক্ষণিক প্রয়োজনে আমরা অনেক লোকের সঙ্গে মিলি, আমাদের কাছে তারা সেইটুকুর মধ্যেই নিঃশেষিত। কিন্তু, যে আমার প্রিয়, কোনো-এক সময়ের আলাপে আমোদে, কোনো-এক সময়ের প্রয়োজনে তার শেয় পাই নে। তার সঙ্গে যে সময়ে যে আলাপে যে কর্মে নিযুক্ত আছি, সে সময়কে, সেই আলাপকে, সেই কর্মকে বহু দূরে ছাড়িয়ে সে রয়েছে। কোনো বিশেষ দেশে বিশেষ কালে বিশেষ ঘটনায় আমরা তাকে সমাপ্ত করলুম বলে মনেই করতে পারি নে ; সে অামার কাছে প্রাপ্ত অথচ অপ্রাপ্ত— এই অপ্রাপ্তি তাকে আমার কাছে এমন আনন্দময় করে রেখেছে। এর থেকে বোঝা যায়, আমাদের আত্মা যে পেতেই চাচ্ছে তা নয়, সে না-পেতেও চায়। এইজন্যেই সংসারের সমস্ত দৃপ্তস্পৃষ্ঠের মাঝখানে দাড়িয়ে সে বলছে, কেবলই পেয়ে পেয়ে আমি প্রাস্ত হয়ে গেলুম, আমার না-পাওয়ার ধন কোথায় ? সেই চিরদিনের না-পাওয়াকে পেলে যে আমি বঁচি P— যতো বাচো নিবর্তন্তে অপ্রাপ্য মনসা সহ আনন্দং ব্রহ্মণো বিদ্বান ন বিভেতি কদাচন। বাক্য মন র্যাকে না পেয়ে ফিরে আসে সেই আমার না-পাওয়৷ ব্রহ্মের আনন্দে আমি সমস্ত ক্ষুদ্র ভয় হতে যে রক্ষা পেতে পারি। এইজন্যেই উপনিষৎ বলেছেন : অবিজ্ঞাতম বিজানতাং বিজ্ঞাতম অবিজানতাম্। ধিনি বলেন ‘আমি তাকে জানি নি তিনিই জানেন, যিনি বলেন ‘আমি জেনেছি? তিনি জানেন না। আমি তাকে জানতে পারলুম না, এ কথাটা জানবার অপেক্ষ