পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○88 শাস্তিনিকেতন গিয়ে টিকা বাড়িয়ে ধরলে । এমনি করে সমস্ত গজাখোরের শক্তি পরাস্ত হল— টিকা ধরল না । এই গল্পের ভাবখানা হচ্ছে এই যে, যে ব্রহ্মের সীমা পাওয়া যায় না র্তার সঙ্গে কোনো সম্বন্ধ-স্থাপনের চেষ্টা এইরকম বিড়ম্বন । এর থেকে দেখা যাচ্ছে, কারও কারও মতে সাংসারিক প্রার্থনা ছাড়া আমাদের মনে আর-কোনো প্রার্থনা নেই। আমরা কেবল প্রয়োজনসিদ্ধিই চাই—টিকেয়, আমাদের আগুন ধরাতে হবে। এ কথাটা যে কত অমূলক তা ওই চাদের কথা ভাবলেই বোঝা যাবে। আমরা দেশলাইকে যে ভাবে চাই চাদকে সে ভাবে চাই নে, চাদকে চাদ বলেই চাই, চাদ আমাদের বিশেষ কোনো সংকীর্ণ প্রয়োজনের অতীত বলেই তাকে চাই। সেই চির-অতৃপ্ত অসমাপ্ত পাওয়ার চাওয়াটাই সব চেয়ে বড়ে চাওয়া। সেইজন্যেই পূর্ণচন্দ্র আকাশে উঠলেই নদীতে, নৌকায়, ঘাটে, গ্রামে, পথে, নগরের হর্ম্যতলে, গাছের নীড়ে, চারি দিক থেকে গান জেগে ওঠে— কারও টিকেয় আগুন ধরে না ব’লে কোথাও কোনো ক্ষোভ থাকে না । ব্ৰহ্ম তো তাল-বেতাল নন যে তাকে আমরা বশ করে নিয়ে প্রয়োজনসিদ্ধি করব । কেবল প্রয়োজনসিদ্ধিতেই পাওয়ার দরকার, আনন্দের পাওয়াতে ঠিক তার উন্টো । তাতে না-পাওয়াটাই হচ্ছে সকলের চেয়ে বড়ো জিনিস। যে জিনিস আমরা পাই তাতে আমাদের যে স্থখ সে অহংকারের স্থখ । আমার আয়ত্তের জিনিস আমার ভৃত্য, আমার অধীন, আমি তার চেয়ে বড়ো । কিন্তু, এই সুখই মানুষের সব চেয়ে বড়ো সুখ নয়। আমার চেয়ে যে বড়ো তার কাছে আত্মসমর্পণ করার মুখই হচ্ছে আনন্দ । আমার যিনি অতীত আমি তারই— এইটি জানাতেই অভয়, এইটি অনুভব করাতেই আনন্দ। যেখানে ভূমানন্দ সেখানে আমি বলি, “আমি আর