পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাওয়া ও না-পাওয়া \O8 (? পারলুম না, আমি হাল ছেড়ে দিলুম, আমি গেলুম। গেল আমার অহংকার, গেল আমার শক্তির ঔদ্ধত্য।’ এই না পেরে ওঠার মধ্যে, এই না পাওয়ার মধ্যে, নিজেকে একান্ত ছেড়ে দেওয়াই মুক্তি। মানুষ তো সমাপ্ত নয়, সে তো হয়ে-বয়ে যায় নি, সে যেটুকু হয়েছে সে তো অতি অল্পই । তার না-হওয়াই যে অনস্ত। মানুষ যখন আপনার এই হওয়া-রূপী জীবের বর্তমান প্রয়োজন-সাধন করতে চায়, তখন প্রয়োজনের সামগ্রীকে নিজের অভাবের সঙ্গে একেবারে সম্পূর্ণ করে চারি দিকে মিলিয়ে নিতে হয়, তার বর্তমানটি একেবারে সম্পূর্ণ বর্তমানকেই চাচ্ছে । কিন্তু, সে তো কেবলই বর্তমান নয়, সে তো কেবলই হওয়া-রূপী নয় ; তার না-হওয়া-রূপী অনস্ত যদি কিছুই না পায় তবে তার আনন্দ নেই। পাওয়ার সঙ্গে অনন্ত না-পাওয়া তার সেই অনন্ত না-হওয়াকে আশ্রয় দিচ্ছে, খাদ্য দিচ্ছে । এইজন্তেই মানুষ কেবলই বলে, ‘অনেক দেখলুম, অনেক শুনলুম, অনেক বুঝলুম, কিন্তু আমার না-দেখার ধন, না-শোনার ধন, না-বোঝার ধন কোথায় ? ষা অনাদি ব’লেই অনন্ত, যা হয় না ব’লেই যায় না, যাকে পাই নে ব’লেই হারাই নে, যা আমাকে পেয়েছে ব’লেই আমি আছি, সেই অশেষের মধ্যে নিজেকে নিঃশেষ করবার জন্যেই আত্মা কঁদিছে । সেই অশেষকে সশেষ করতে চায়, এমন ভয়ংকর নির্বোধ সে নয়। যাকে আশ্রয় করবে তাকে আশ্রয় দিতে চায়, এমন সমূলে আত্মঘাতী নয়। ৪ বৈশাখ হওয়া পাওয়া মানেই আংশিকভাবে পাওয়া। প্রয়োজনের জন্তে আমরা যাকে পাই তাকে তো কেবল প্রয়োজনের মতোই পাই ; তার বেশি তো