পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\98や _ শান্তিনিকেতন পাই নে। অন্ন কেবল খাওয়ার সঙ্গে মেলে, বস্ত্র কেবল পরার সঙ্গেই মেলে, বাড়ি কেবল বাসের সঙ্গে মেলে। এদের সঙ্গে আমাদের সম্বন্ধ ওই-সকল ক্ষুদ্র প্রয়োজনের সীমাতে এসে ঠেকে, সেটাকে আর লঙ্ঘন করা যায় না । এইরকম বিশেষ প্রয়োজনের সংকীর্ণ পাওয়াকেই আমরা লাভ বলি। সেইজন্তে ঈশ্বরকে লাভের কথা যখন ওঠে তখনও ভাষা এবং অভ্যাসের টানে ওইরকম লাভের কথাই মনে উদয় হয়। সে যেন কোনো বিশেষ স্থানে কোনো বিশেষ কালে লাভ ; তাকে দর্শন মানে কোনো বিশেষ মূর্তিতে কোনো বিশেষ মন্দিরে বা বিশেষ কল্পনায় शब्लॅम । 唯 কিন্তু, পাওয়া বলতে যদি আমরা এই বুঝি তবে ঈশ্বরকে পাওয়া হতেই পারে না। আমরা যা-কিছুকে পেলুম বলে মনে করি সে আমাদের ঈশ্বর নয়। তিনি আমাদের পাওয়ার সম্পূর্ণ অতীত। তিনি আমাদের বিষয়সম্পত্তি নন। ও জায়গায় আমাদের কেবল হওয়া, পাওয়া নয়। তাকে আমরা পাব না, তার মধ্যে আমরা হব । আমার সমস্ত শরীর মন হৃদয় নিয়ে আমি কেবলই হয়ে উঠতে থাকব । ছাড়তে ছাড়তে, বাড়তে বাড়তে, মরতে মরতে, বঁাচতে বাচতে, আমি কেবলই হব। পাওয়াটা কেবল এক অংশে পাওয়া ; হওয়াটা ষে একেবারে সমগ্রভাবে হওয়া— সে তো লাভ নয়, সে বিকাশ । на ভীরু লোকে বলবে, বল কৗ! তুমি ব্রহ্ম হবে । এমন কথা তুমি মুখে আন কী করে ? ই, আমি ব্ৰহ্মই হব। এ কথা ছাড়া অন্য কথা আমি মুখে আনতে পারি নে। আমি অসংকোচেই বলব, আমি ব্ৰহ্ম হব। কিন্তু, ‘জামি ব্ৰহ্মকে পাব? এত বড়ো স্পর্ধার কথা বলতে পারি নে।