পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\98切* \ শান্তিনিকেতন আর-কোনো হওয়াতে তো আমরা সম্পূর্ণ হই নে। সমস্তই আমরা পেরিয়ে যাই ; পেরোতে পারি নে ব্রহ্মকে। ছোটো সেখানে বড়ো হয়। কিন্তু, তার সেই বড়ো হওয়া শেষ হয় না এই তার আনন্দ । আমরা এই আনন্দেরই সাধনা করব। আমরা ব্রহ্মে মিলিত হয়ে অহরহ কেবল ব্রহ্মই হতে থাকব। যেখানে বাধা পাব সেখানে হয় ভেঙে নয় এড়িয়ে যাব। অহংকার স্বার্থ এবং জড়তা যেখানে নিস্ফল বালির স্তপ হয়ে পথরোধ করে দাড়াবে সেখানে প্রতি মুহূর্তে তাকে ক্ষয় করে ফেলব । সকালবেলায় এইখানে বসে যে একটুখানি উপাসনা করি এই দেশকালবদ্ধ আংশিক জিনিসটিকে আমরা যেন সিদ্ধি বলে ভ্ৰম না করি। একটু রস, একটু ভাব, একটু চিন্তাই ব্রহ্ম নয়। এইটুকুমাত্রকে নিয়ে কোনোদিন জমছে কোনোদিন জমছে না বলে খুত খুত কোরে না। এই সময় এবং এই অনুষ্ঠানটিকে একটি অভ্যস্ত আরামে পরিণত করে সেটাকে একটা পরমার্থ বলে কল্পনা কোরো না । সমস্তদিন সমস্ত চিন্তায় সমস্ত কাজে একেবারে সমগ্র নিজেকে ব্রহ্মের অভিমুখে চালনা করে— উণ্টো দিকে নয়, নিজের দিকে নয়, কেবলই সেই ভূমার দিকে, শ্রেয়ের দিকে, অমৃতের দিকে। সমুদ্রে নদীর মতে র্তার সঙ্গে মিলিত হও— তা হলে তোমার সমস্ত সত্তার ধারা কেবলই তিনিময় হতে থাকবে, কেবলই তুমি ব্ৰহ্ম হয়ে উঠবে। তা হলে তুমি তোমার সমস্ত জীবন দিয়ে, সমস্ত অস্তিত্ব দিয়ে, জানতে পারবে— ব্ৰহ্মই তোমার পরম গতি, পরম সম্পং, পরম আশ্রয়, পরম আনন্দ, কেননা তাতেই তোমার পরম হওয়া । ৬ বৈশাখ