পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তি · ෆෙ তিনি যদি প্রকাশেই আনন্দিত তবে আমি কি আনন্দের জন্তে অপ্রকাশের সন্ধান করব ? তার যদি ইচ্ছাই হয় প্রকাশ তবে আমার এই ক্ষুদ্র ইচ্ছার্টুকুর দ্বারা আমি তার সেই প্রকাশের হাত এড়াই বা কেমন করে ? র্তার আনন্দের সঙ্গে যোগ না দিয়ে আমি কিছুতেই আনন্দিত হতে পারব না। এর সঙ্গে যেখানেই আমার যোগ সম্পূর্ণ হবে সেইখানেই আমার মুক্তি হবে, সেইখানেই আমার আনন্দ হবে। বিশ্বের মধ্যে র্তার প্রকাশকে অবাধে উপলব্ধি করেই আমি মুক্ত হব— নিজের মধ্যে র্তার প্রকাশকে অবাধে দীপ্যমান করেই আমি মুক্ত হব । ভববন্ধন অর্থাৎ হওয়ার বন্ধন ছেদন করে মুক্তি নয়— হওয়াকেই বন্ধনস্বরূপ না করে মুক্তিস্বরূপ করাই হচ্ছে মুক্তি। কর্মকে পরিত্যাগ করাই মুক্তি নয়, কর্মকে আনন্দোম্ভব কর্ম করাই মুক্তি । তিনি যেমন আনন্দ প্রকাশ করছেন তেমনি আনন্দেই প্রকাশকে বরণ করা, তিনি যেমন আনন্দে কর্ম করছেন তেমনি আনন্দেই কর্মকে গ্রহণ করা —একেই বলি মুক্তি। কিছুই বর্জন না করে সমস্তকেই সত্যভাবে স্বীকার করে মুক্তি। প্রতিদিনের এই-ষে অভ্যস্ত পৃথিবী আমার কাছে জীর্ণ অভ্যস্ত প্রভাত আমার কাছে মান, কবে এরাই আমার কাছে নবীন ও উজ্জল হয়ে ওঠে ? যেদিন প্রেমের দ্বারা আমার চেতন নবশক্তিতে জাগ্রত হয়। যাকে ভালোবাসি আজ তার সঙ্গে দেখা হবে, এই কথা স্মরণ হলে কাল যা-কিছু শ্ৰীহীন ছিল আজ সেই সমস্তই সুন্দর হয়ে ওঠে। প্রেমের দ্বারা চেতনা ষে পূর্ণশক্তি লাভ করে সেই পূর্ণতার দ্বারাই সে সীমার মধ্যে অসীমকে, রূপের মধ্যে অপরূপকে দেখতে পায়, তাকে নূতন কোথাও যেতে হয় না। ওই অভাবটুকুর দ্বারাই অসীম সত্য তার কাছে সীমায় বদ্ধ হয়ে ছিল। o ዻ বিশ্ব তার আনন্দরূপ ; কিন্তু আমরা রূপকে দেখছি, আনন্দকে