পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* * , % o § মুক্তিয় *iथं * V》丝● தி .* বুদ্ধদেব শূন্তকে মানতেন কি পূর্ণকে মানতেন সে তর্কের মধ্যে যেতে চাই নে । কিন্তু তিনি মঙ্গলসাধনার দ্বারা প্রেমকে বিশ্বচরাচরে মুক্ত করতে উপদেশ দিয়েছিলেন। তার মুক্তির সাধনাই ছিল স্বাৰ্থত্যাগ অহংকারত্যাগ ক্রোধত্যাগের সাধনা, ক্ষমার সাধন, দয়ার সাধনা, প্রেমের সাধনা ৷ এমনি করে প্রেম যখন অহং-এর শাসন অতিক্রম করে বিশ্বের মধ্যে অনস্তের মধ্যে মুক্ত হয়, তখন সে যা পায় তাকে যে নামই ৷ দাও-না কেন, সে কেবল ভাষার বৈচিত্ৰ্যমাত্র, কিন্তু সেইই মুক্তি। এই প্রেম যা যেখানে আছে কিছুকেই ত্যাগ করে না, সমস্তকেই সত্যময় ক’রে পূর্ণতম ক’রে উপলব্ধি করে। নিজেকে পূর্ণের মধ্যে সমর্পণ করবার কোনো বাধাই মানে না । আত্মার মধ্যে পরমাত্মার অনস্ত প্রেম অনস্ত আনন্দকে অবাধে উপলব্ধি করবার উপায় হচ্ছে— পাপপরিশুন্য মঙ্গলসাধন। সেই উপলব্ধি যতই বন্ধনহীন যতই সত্য হতে থাকবে ততই বিশ্বসংসারে, সমস্ত ইন্দ্ৰিয়বোধে চিস্তায় ভাবে কর্মে, আমাদের আনন্দ অব্যাহত হবে । আমরা তখন পরমাত্মার দিক থেকেই জগৎকে দেখব— নিজের দিক থেকে নয়। তখনই জগতের সত্য আমাদের কাছে আনন্দে পরিপূর্ণ হবে, মহাকবির চিরন্তন কাব্য আমাদের কাছে সার্থক হয়ে উঠবে। ৭ বৈশাখ