পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

; բ s * | * | আশ্রম শাস্তিনিকেতনের বাৎসরিক উৎসব উপলক্ষে প্রভাতের স্বর্য যে উৎসবদিনটির পদ্মদলগুলিকে দিকে দিকে উদঘাটিত করে দিলেন তারই মর্মকোষের মধ্যে প্রবেশ করবার জন্তে আজ আমাদের আহবান আছে। তার স্বর্ণরেণুর অন্তরালে যে মধু সঞ্চিত আছে সেখান থেকে কি কোনো স্বগন্ধ আজ আমাদের হৃদয়ের মাঝখানে এসে পৌছোয় নি ? এই বিশ্ব-উপবনের রহস্ত-নিলয়ের ভিতরটিতে প্রবেশের সহজ অধিকার আছে যার সেই চিত্তমধুকর কি আজও এখনও জাগল না ? কোনো বাতাসে এখনও সে কি খবর পায় নি ? অাজকের দিন যে একটি অনেক দিনের খবর নিয়ে বেরিয়েছে এবং সে যে সম্মুখের অনেক দিনের দিকেই চলেছে। সে যে দূর ভবিষ্যতের পথিক । আজ তাকে ধরে দাড় করিয়ে আমাদের প্রশ্ন করতে হবে, তার ষা-কিছু কথা আছে সমস্ত আদায় করে নেওয়া চাই। সমস্ত মন দিয়ে না জিজ্ঞাসা করলে সে কাউকে কিছুই বলে না ; তখন আমরা মনে করি, এই গান, এই বাদ্যধ্বনি, এই জনতার কোলাহল, এই বুঝি তার যা ছিল সমস্ত, আর বুঝি তার কোনো বাণী নেই। কিন্তু এমন করে তাকে যেতে দেওয়া হবে না। আজ এই-সমস্ত কোলাহলের মধ্যে যে নিস্তব্ধ হয়ে আছে সেই পথিকটিকে জিজ্ঞাসা করে, আজ এ কিসের উৎসব ? . প্রতি বৎসর বসন্তে আমের বনে ফল-ভরা শাখার মধ্যে দক্ষিণের