পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\こむbr শান্তিনিকেতন বাতাস বইতে থাকে, সেই সময়ে আমের বনে তার বার্ষিক উৎসবের ঘটা। কিন্তু এই উৎসবের উৎসবত্ব কী নিয়ে, কিসের জন্তে ? না, যে বীজ থেকে আমের গাছ জন্মেছে সেই বীজ অমর হয়ে গেছে, এই শুভ খবরটি দেবার জন্যে। বৎসরে বৎসরে ফল ধরছে ; সে ফলের মধ্যে সেই একই বীজ, সেই পুরাতন বীজ। সে আর কিছুতেই ফুরোচ্ছে না, সে নিত্যকালের পথে নিজেকে দ্বিগুণিত চতুর্গুণিত সহস্ৰগুণিত করে চলেছে । § শাস্তিনিকেতনের সাম্বৎসরিক উৎসবের সফলতার মর্মস্থান যদি উদ্‌ঘাটন করে দেখি তবে দেখতে পাব, এর মধ্যে সেই বীজ অমর হয়ে আছে যে বীজ থেকে এই আশ্রম-বনস্পতি জন্মলাভ করেছে । সে হচ্ছে সেই দীক্ষাগ্রহণের বীজ। মহর্ষির সেই জীবনের দীক্ষা এই আশ্রম-বনম্পতিতে আজ আমাদের জন্যে ফলছে এবং আমাদের আগামীকালের উত্তরবংশীয়দের জন্তে ফলতেই চলবে। বহুকাল পূর্বে কোন-এক দিনে মহর্ষি দীক্ষাগ্রহণ করেছিলেন, সে খবর কজন লোকই বা জানত ? যারা জেনেছিল, যারা দেখেছিল, তারা মনে মনে ঠিক করেছিল, এই একটি ঘটনা আজকে ঘটল এবং আজকেই এটা শেষ হয়ে গেল । Af কিন্তু এই দীক্ষাগ্রহণ ব্যাপারটিকে সেই স্থদুর কালের ৭ই পৌষ নিজের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিঃশেষ করে ফেলতে পারে নি। সেই একটি দিনের মধ্যেই একে কুলিয়ে উঠল না। সেদিন যার খবর কেউ পায় নি এবং তার পরে বহুকাল পর্যন্ত যার পরিচয় পৃথিবীর কাছে অজ্ঞাত ছিল, সেই ৭ই পৌষের দীক্ষার দিন আজ অমর হয়ে বৎসরে বৎসরে উৎসবফল প্রসব করছে । - আমাদের জীবনে কতশত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, কিন্তু চিরপ্রাণ তো তাদের স্পর্শ করে না ; তারা ঘটছে এবং মিলিয়ে যাচ্ছে, তার হিসেব