পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उषांeवंभ et» কোথাও থাকছে না । কিন্তু মহাপ্রাণ এসে কার জীবনের কোন মুহূর্তটিকে কখন লুকিয়ে ম্পর্শ করে দেন, তার উপরে নিজের অদৃশু চিহ্নটি লিখে দিয়ে চলে যান, তার পরে তাকে কেউ না-দেখুক, না-জামুক, সে হেলায় ফেলায় পড়ে থাক, তাকে আবর্জন বলে লোকে বেটিয়ে ফেলুক, সেদিনকার এবং তার পরে বহুদিনকার ইতিহাসের পাতে তার কোনো উল্লেখ না-থাকুক, কিন্তু সে রয়ে গেল। জগতের রাশি রাশি মৃত্যু ও বিস্মৃতির মাঝখান থেকে সে আপনার অঙ্কুরটি নিয়ে অতি অনায়াসে মাথা তুলে ওঠে ; নিত্যকালের সূর্যালোক এবং নিত্যকালের সমীরণ তাকে পালন করবার ভার গ্রহণ করে, সদাচঞ্চল সংসারের ভয়ংকর ঠেলাঠেলিতেও তাকে আর সরিয়ে ফেলতে পারে না। মহৰ্ষির জীবনের একটি ৭ই পৌষকে সেই প্রাণস্বরূপ অমৃতপুরুষ একদিন নিঃশব্দে স্পর্শ করে গিয়েছেন ; তার উপরে আর মৃত্যুর অধিকার রইল না। সেই দিনটি তার জীবনের সমস্ত দিনকে ব্যাপ্ত করে কিরকম করে প্রকাশ পেয়েছে তা কারও অগোচর নেই। তার পরে র্তার দীর্ঘ জীবনের মধ্যেও সেই দিনটির শেষ হয় নি। আজও সে বেঁচে আছে— শুধু বেঁচে নেই, তার প্রাণশক্তির বিকাশ ক্রমশই প্রবলতর হয়ে উঠছে। পৃথিবীতে আমরা অধিকাংশ লোকই প্রচ্ছন্ন হয়ে আছি। আমাদের মধ্যে সেই প্রকাশ নেই যে প্রকাশকে খৰি আহ্বান করে বলেছেন ‘আবিরাবীর্ম এধি’। হে প্রকাশ, তুমি আমাতে প্রকাশিত হও। তার সেই প্রকাশ যার জীবনে আবির্ভূত তিনি তো আর নিজের ঘরের প্রাচীরের দ্বারা নিজেকে আড়াল করে রাখতে পারেন না এবং তিনি নিজের আয়ুটুকুর মধ্যেই নিজে সমাপ্ত হয়ে থাকেন না। নিজের মধ্যে থেকে তাকে সর্বদেশে এবং নিত্যকালে বাহির হতেই হবে। সেই