পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\9\9o শান্তিনিকেতন জন্ধেই উপনিষৎ বলেছেন— যদৈতম্ অনুপগুতি আত্মানং দেবম্ অঞ্জলা ঈশানং ভূতভব্যস্ত ন ততো বিজুগুপাতে। যখন এই দেবতাকে, এই পরমাত্মাকে, এই ভূতভবিষ্যতের ঈশ্বরকে কোনো ব্যক্তি সাক্ষাৎ দেখতে পান তখন তিনি আর গোপনে থাকতে পারেন না । তাকে যিনি সাক্ষাৎ দেখেছেন, অর্থাৎ একেবারে নিজের অন্তরাত্মার মাঝখানেই দেখেছেন, তার আর পর্দা নেই, দেয়াল নেই, প্রাচীর নেই। তিনি সমস্ত দেশের, সমস্ত কালের। র্তার কথার মধ্যে, আচরণের মধ্যে, নিত্যতার লক্ষণ আপনিই প্রকাশ পেতে থাকে। এর কারণ কী ? এর কারণ হচ্ছে এই যে, তিনি যে ‘আত্মানং’, সকল আত্মার আত্মাকে দেখেছেন । যারা সেই আত্মাকে দেখে নি তারা অহংকেই বড়ো করে দেখে। তারা বাহিরের দরজার কাছেই ঠেকে গিয়েছে। তারা কেবল “আমার খাওয়া, আমার পর, অামার বুদ্ধি, আমার মত, আমার খ্যাতি, আমার বিত্ত একেই প্রধান করে দেখে । এই-যে অহংকার এতে সত্য নেই, নিত্য নেই ; এ আলোকের দ্বারা নিজেকে প্রকাশ করতে পারে না, আঘাতের দ্বারা প্রকাশ করতে চেষ্টা করে । কিন্তু ষে লোক আত্মাকে দেখেছে সে আর অহং-এর দিকে দৃকপাত করতে চায় না। তার সমস্ত অহং-এর আয়োজন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। যে প্রদীপে আলোকের শিখ ধরে নি সেই তো নিজের প্রচুর তেল ও পলতের সঞ্চয় নিয়ে গর্ব করে। আর, যাতে আলো একবার ধরে গিয়েছে সে কি আর নিজের তেল-পলতের দিকে ফিরে তাকায় ? সে ওই আলোটির পিছনে তার সমস্ত তেল সমস্ত পলতে উৎসর্গ করে দেয়। কিন্তু সে একেবারে প্রকাশ হয়ে পড়ে, সে আর নিজের আড়ালে