পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

च्षांख्वंग - \et9) গোপনে থাকতে পারে না । ন ততো বিজুগুপ্তসতে। কেন ? কেননা, তিনি ‘অনুপগুতি আত্মানং দেবং । তিনি আত্মাকে দেখেছেন, দেবকে দেখেছেন। দেব শব্দের অর্থ দীপ্তিমান। আত্মা ষে দেব, আত্মা যে জ্যোতির্ময়। আত্মা যে স্বতঃপ্রকাশিত। অহং প্রদীপমাত্র, আর আত্মা যে আলোক। অহংদীপ যখন এই দীপ্তিকে, এই আত্মাকে উপলব্ধি করে তখন সে কি আর অহংকারের সঞ্চয় নিয়ে থাকে ? তখন সে আপনার সব দিয়েই সেই আলোককেই প্রকাশ করে। সে যে তাকে দেখেছে যিনি "ঈশানো ভূতভব্যস্ত', যিনি অতীত ও ভবিষ্যতের অধিপতি। সেইজন্যেই সে যে সেই বৃহৎ কালের ক্ষেত্রেই আপনাকে এবং সব-কিছুকেই দেখতে পায় । সে তো কোনো সাময়িক আসক্তির দ্বারা বদ্ধ হয় না, কোনো সাময়িক ক্ষোভের দ্বারা বিচলিত হতে পারে না। এইজন্যই তার বাক্য ও কর্ম নিত্য হয়ে ওঠে । তা কালে কালে ক্রমশই প্রবলতর হয়ে ব্যক্ত হতে থাকে। যদি-বা কোনোএক সময়ে কোনো কারণে তা আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে তবে নিজের আচ্ছাদনকে দগ্ধ করে আবার নবীনতর উজ্জলতায় সে দীপ্যমান হয়ে ওঠে। মহর্ষির ৭ই পৌষের দীক্ষার উপরে আত্মার দীপ্তি পড়েছিল, তার উপরে ভূত-ভবিষ্যতের যিনি ঈশান তার আবির্ভাব হয়েছিল। এইজন্তে, সেই দীক্ষা ভিতরে থেকে তার জীবনকে ধনীগৃহের প্রস্তরকঠিন আচ্ছাদন থেকে সর্বদেশ সর্বকালের দিকে উদঘাটিত করে দিয়েছে। এবং সেই ৭ই পৌষ এই শাস্তিনিকেতন-আজমকে স্বষ্টি করেছে এবং এখনও প্রতিদিন একে স্বষ্টি করে তুলছে। তিনি আজ প্রায় অর্ধ শতাব্দী হল যেদিন এর সপ্তপর্ণের ছায়ায় এসে বসলেন সেদিন তিনি জানতেন না যে, তার জীবনের সাধন এইখানে নিত্য হয়ে বিরাজ করবে। তিনি ভেবেছিলেন, নির্জন উপাসনার জন্তে