পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\రితిని শান্তিনিকেতন এখানে তিনি একটি বাগান তৈরি করেছেন । কিন্তু ‘ন ততো বিজুগুপাতে'। যে জায়গায় বড়ো এসে দাড়ান সে জায়গাকে ছোটো বেড়া দিয়ে আর ঘেরা যায় না। ধনীর সন্তান নিজেকে যেমন পারিবারিক ধনমানসন্ত্রমের মধ্যে ধরে রাখতে পারেন নি, সকলের কাছে তাকে বেরিয়ে পড়তে হয়েছে, তেমনি এই শাস্তিনিকেতনকেও তিনি আর বাগান করে রাখতে পারলেন না। এ তার বিষয়সম্পত্তির আবরণকে বিদীর্ণ করে ফেলে বেরিয়ে পড়েছে। এ আপনিই আজ আশ্রম হয়ে দাড়িয়েছে। যিনি ঈশানো ভূতভব্যস্ত’ তার স্পর্শে বোলপুরের মাঠের এই ভূখণ্ডটুকু ভূত ও ভবিষ্যতের মধ্যে ব্যাপ্ত হয়ে দেখা দিয়েছে। এই আশ্রমটির মধ্যে ভারতবর্ষের একটি ভূতকালের আবির্ভাব আছে । সে হচ্ছে সেই তপোবনের কাল। যে কালে ভারতবর্ষ তপোবনে শিক্ষালাভ করেছে, তপোবনে সাধনা করেছে এবং সংসারের কর্ম সমাধা করে তপোবনে জীবিতেশ্বরের কাছে জীবনের শেষ নিশ্বাস নিবেদন করে দিয়েছে। যে কালে ভারতবর্ষ জল স্থল আকাশের সঙ্গে আপনার যোগ স্থাপন করেছে এবং তরুলত পশুপক্ষীর সঙ্গে আপনার বিচ্ছেদ দূর করে দিয়ে– সর্বভূতেষু চাত্মানং— আত্মাকে সর্বভূতের মধ্যে দশন করেছে। শুধু ভূতকাল নয়, এই আশ্রমটির মধ্যে একটি ভবিষ্যৎকালের আবির্ভাব আছে। কারণ, সত্য কোনো অতীতকালের জিনিস হতেই পারে না। যা একেবারেই হয়ে চুকে গেছে, যার মধ্যে ভবিষ্যতে আর হবার কিছুই নেই, তা মিথ্যা, তা মায়া। বিশ্বপ্রকৃতির মাঝখানে দাড়িয়ে আত্মার সঙ্গে ভূমার যোগসাধনা এই যদি সত্য সাধনা হয়, তবে এই সাধনার মধ্যে এসে উপস্থিত না হলে কোনো কালের কোনো সমস্তার মীমাংস হতে পারবে না। এই সাধনা না থাকলে সত্যের সঙ্গে মঙ্গলকে আমরা এক করে দেখতে পাব না, মঙ্গলের সঙ্গে স্বন্দরের