পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उपांडवंश - \Oశ్రీల আমরা বিচ্ছেদ ঘটিয়ে বসব। এই সাধনা না থাকলে আমরা জগতে অনৈক্যকেই বড়ো করে জানব এবং স্বাতন্ত্র্যকেই পরম পদার্থ বলে জ্ঞান করব, পরম্পরকে খর্ব করে প্রবল হয়ে ওঠবার জন্ত কেবলই ঠেলাঠেলি করতে থাকব। সমস্তকে এক করে নিয়ে যিনি শাস্তং শিবং অদ্বৈতম্:রূপে বিরাজ করছেন তাকে সর্বত্র উপলব্ধি করবার জন্তে না পাব অবকাশ, না পাব মনের শাস্তি । অতএব সংসারের সমস্ত ঘাত-প্রতিঘাত কাড়াকড়ি-মারামারি ষাতে একান্ত হয়ে উত্তপ্ত হয়ে না ওঠে সেজন্তে এক জায়গায় শাস্তং শিবং অদ্বৈতম’এর স্বরটিকে বিশুদ্ধভাবে জাগিয়ে রাখবার জন্তে তপোবনের প্রয়োজন । সেখানে ক্ষণিকের আবর্ত নয়, সেখানে নিত্যের আবির্ভাব ; সেখানে পরস্পরের বিচ্ছেদ নয়, সেখানে সকলের সঙ্গে যোগের উপলব্ধি । সেখানকারই প্রার্থনামন্ত্র হচ্ছে ঃ আসতো মা সদগময়। তমসো মা জ্যোতির্গময়। মৃত্যোর্মামৃতং গময়। সেই তপোবনটি মহর্ষির জীবনের প্রভাবে এখানে আপনি হয়ে উঠেছে। এখানকার বিরাট প্রাস্তরের মধ্যে তপস্যার দীপ্তি আপনিই বিস্তীর্ণ হয়েছে। এখানকার তরুলতার মধ্যে সাধনার নিবিড়ত আপনিই সঞ্চিত হয়ে উঠেছে। "ঈশানো ভূতভব্যস্ত’ এখানকার আকাশের মধ্যে র্তার একটি বড়ো আসন পেতেছেন। সেই মহৎ আবির্ভাবটি আশ্রমবাসী প্রত্যেকের মধ্যে প্রতিদিন কাজ করছে। প্রত্যেক দিনটি প্রাস্তরের প্রাস্ত হতে নিঃশব্দে উঠে এসে তাদের দুই চক্ষুকে আলোকের অভিষেকে নির্মল করে দিচ্ছে । সমস্ত দিনই আকাশ অলক্ষ্যে তাদের অন্তরের মধ্যে প্রবেশ করে জীবনের সমস্ত সংকোচগুলিকে দুই হাত দিয়ে ধীরে ধীরে প্রসারিত করে দিচ্ছে। তাদের হৃদয়ের গ্রন্থি অল্পে অল্পে মোচন হচ্ছে ; তাদের সংস্কারের আবরণ ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে ; তাদের ধৈর্ষ দৃঢ়তর, ক্ষমা গভীরতর হয়ে উঠছে এবং আনন্দময়