পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

षड्विंश 9ళ তোমার শক্তির উপরে তুমি এই একটি হুকুম জারি করেছ, সে লুকিয়ে লুকিয়ে আমাদের কাজ করবে এবং দেখাবে যেন সে খেলা করছে। কিন্তু তোমার এই আধিভৌতিক শক্তি যা আলো হয়ে আমাদের সামনে নানা রঙের ছবি অঁাকছে ; যা বাতাস হয়ে আমাদের কানে নানা স্বরে গান করছে ; যা বলছে ‘আমি জল’, ব’লে আমাদের স্নান করাচ্ছে ; যা বলছে ‘আমি স্থল’, ব’লে আমাদের কোলে করে রেখেছে— যখন শক্তির সঙ্গে আমাদের জ্ঞানের যোগ হয়, যখন তাকে আমরা শক্তি বলেই জানতে পারি, তখন তার ক্রিয়াকে আমরা অনেক বেশি ক’রে, অনেক বিচিত্ৰ ক’রে লাভ করি। তখন তোমার যে শক্তি আমাদের কাছে সম্পূর্ণ আত্মগোপন করে কাজ করছিল সে আর 'ন ততো বিজুগুপ্ততে’। তখন বাম্পের শক্তি আমাদের দূরে বহন করে, বিদ্যুতের শক্তি আমাদের দুঃসাধ্য প্রয়োজনসকল সাধন করতে থাকে। তেমনি তোমার অধ্যাত্মশক্তি আনন্দের প্রস্রবণ থেকে উচ্ছসিত হয়ে উঠে এই আশ্রমটির মধ্যে আপনিই নিঃশব্দে কাজ করে যাচ্ছে, দিনে দিনে, ধীরে ধীরে, গভীরে গোপনে । কিন্তু সচেতন সাধনার দ্বারা যে মুহূর্তে আমাদের বোধের সঙ্গে তার যোগ ঘটে যায় সেই মুহূর্ত হতেই সেই শক্তির ক্রিয়া দেখতে দেখতে আমাদের জীবনের মধ্যে পরিব্যাপ্ত ও বিচিত্র হয়ে ওঠে। তখন সেই যে কেবল একলা কাজ করে তা নয়, আমরাও তখন তাকে কাজে লাগাতে পারি। তখন তাতে অামাতে মিলে সে এক আশ্চর্য ব্যাপার হয়ে উঠতে থাকে। তখন যাকে কেবলমাত্র চোখে দেখতুম, কানে শুনতুম, অন্তর বাহিরের ষোগে তার অনস্ত আনন্দরূপটি একেবারে প্রত্যক্ষ হয়ে ওঠে— সে আর 'ন ততো বিজুগুপাতে'। সে তো কেবল বস্তু নয়, কেবল ধ্বনি ময়, সেই আনন্দ, Cनहे श्रांबामा । জ্ঞানের ষোগে আমরা জগতে তোমার শক্তিরূপ দেখি, অধ্যাঙ্ক