পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vరి$95) তপোবন আধুনিক সভ্যতালক্ষ্মী ষে পদ্মের উপর বাস করেন সেটি ইট-কাঠে তৈরি, সেটি শহর । উন্নতির সূর্য যতই মধ্যগগনে উঠছে ততই তার দলগুলি একটি একটি করে খুলে গিয়ে ক্রমশই চার দিকে ব্যাপ্ত হয়ে পড়ছে। চুন-স্বরকির জয়যাত্রাকে বস্থদ্ধর কোথাও ঠেকিয়ে রাখতে পারছে না। । এই শহরেই মাহুষ ৰিষ্ঠ শিখছে, বিদ্যা প্রয়োগ করছে, ধন জমাচ্ছে, ধন খরচ করছে, নিজেকে নানা দিক থেকে শক্তি ও সম্পদে পূর্ণ করে তুলছে। এই সভ্যতায় সকলের চেয়ে যা-কিছু শ্রেষ্ঠ পদার্থ তা নগরের সামগ্ৰী । বস্তুত এ ছাড়া অন্ত রকম কল্পনা করা শক্ত । যেখানে অনেক মানুষের সম্মিলন সেখানে বিচিত্ৰ বুদ্ধির সংঘাতে চিত্ত জাগ্রত হয়ে ওঠে এবং চার দিক থেকে ধাক্কা খেয়ে প্রত্যেকের শক্তি গতি প্রাপ্ত হয়। এমনি করে চিত্তসমুদ্রের মন্থন হতে থাকলে মাহুষের নিগৃঢ় সারপদার্থসকল আপনিই ভেসে উঠতে থাকে। ሓ 蝸 তার পরে মামুষের শক্তি যখন জেগে ওঠে তখন সে সহজেই এমন ক্ষেত্র চায় যেখানে আপনাকে ফলাও রকম করে প্রয়োগ করতে পারে । সে ক্ষেত্র কোথায় ? যেখানে অনেক মানুষের অনেক প্রকার উদ্যম নানা স্বষ্টিকার্যে সর্বদাই সচেষ্ট হয়ে রয়েছে। সেই ক্ষেত্রই হচ্ছে শহর । , গোড়ায় মানুষ যখন খুব ভিড় করে এক জায়গায় শহর স্বষ্টি করে বসে তখন সেটা সভ্যতার আকর্ষণে নয়। অধিকাংশ স্থলেই শত্রুপক্ষের আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষার জন্যে কোনো স্বরক্ষিত ছবিধার জায়গায় মানুষ একত্র হয়ে থাকবার প্রয়োজন অনুভব করে। কিন্তু যে কারণেই হোক, অনেকে একত্র হবার একটা উপলক্ষ ঘটা t লেখালে নানা १8 燃 . I