পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপোবন , , סירס তপোবনস্থতির সঙ্গেই জড়িত। বড়ো বড়ে রাজার রাজত্বের কথা সে । মনে করে রাখবার জন্তে চেষ্টা করে নি, কিন্তু মানা বিপ্লবের ভিতর দিয়েও বনের সামগ্ৰীকেই তার প্রাণের সামগ্ৰী করে আজ পর্যন্ত সে বহন করে এসেছে। মানব-ইতিহাসে এইটেই হচ্ছে ভারতবর্ষের বিশেষত্ব । ভারতবর্ষে বিক্রমাদিত্য যখন রাজা, উজ্জয়িনী যখন মহানগরী, কালিদাস যখন কবি, তখন এ দেশে তপোবনের যুগ চলে গেছে। তথন মানবের মহামেলার মাঝখানে এসে আমরা দাড়িয়েছি। তখন চীন স্থন শক পারসিক গ্ৰীক রোমক সকলে আমাদের চার দিকে ভিড় করে এসেছে। তখন জনকের মতে রাজা এক দিকে স্বহস্তে লাঙল নিয়ে চাষ করছেন, অন্ত দিকে দেশ দেশান্তর হতে আগত জ্ঞানপিপাস্বদের ব্রহ্মজ্ঞান শিক্ষা দিচ্ছেন —এ দৃপ্ত দেখবার আর কাল ছিল না। কিন্তু সেদিনকার ঐশ্বর্ধমদগর্বিত যুগেও তখনকার শ্রেষ্ঠ কবি তপোবনের কথা কেমন করে বলেছেন তা দেখলেই বোঝা যায় যে, তপোবন যখন আমাদের দৃষ্টির বাহিরে গেছে তখনও কতখানি আমাদের হৃদয় জুড়ে বসেছে। কালিদাস ষে বিশেষভাবে ভারতবর্ষের কবি তা তার তপোবনচিত্র থেকেই সপ্রমাণ হয়। এমন পরিপূর্ণ আনন্দের সঙ্গে তপোবনের ধ্যানকে আর কে মূর্তিমান করতে পেরেছে। '. রঘুবংশ কাব্যের যবনিক যখনই উদঘাটিত হল তখন প্রথমেই তপোবনের শাস্ত সুন্দর পবিত্র দৃশুটি আমাদের চোখের সামনে প্রকাশিত হয়ে পড়ল । 曹 * সেই তপোবনে বনান্তর হতে কুশলমিং ফল আহরণ করে তপস্বীর আসছেন এবং যেন একটি অদৃপ্ত অগ্নি তাদের প্রত্যুদগমন করছে। সেখানে হরিণগুলি ঋষিপত্নীদের সন্তানের মতো ; তার নীবার ধান্তের