পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপোবন । ♥©ፃ?» আমার কর্ণে প্রবেশ করে আমাকে চঞ্চল করে তুলেছে। কিন্তু গুণকীর্তনেই এই কাব্যের শেষ নয়। কবিকে ষে কিসে চঞ্চল করে তুলেছে, তা রঘুবংশের পরিণাম দেখলেই বোঝা যায়। f রঘুবংশ র্যার নামে গৌরবলাভ করেছে তার জন্মকাহিনী কী ? র্তার আরম্ভ কোথায় ? তপোবনে দিলীপদম্পতির তপস্তাতেই এমন রাজা জন্মেছেন । কালিদাস র্তার রাজপ্রভুদের কাছে এই কথাটি নানা কাব্যে নান৷ কৌশলে বলেছেন যে, কঠিন তপস্তার ভিতর দিয়ে ছাড়া কোনো মহৎ ফললাভের কোনো সম্ভাবনা নেই। যে রঘু উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিমের সমস্ত রাজাকে বীরতেজে পরাভূত করে পৃথিবীতে একচ্ছত্র রাজত্ব বিস্তার করেছিলেন তিনি তার পিতামাতার তপঃসাধনার ধন। আবার ষে ভরত বীর্যবলে চক্রবর্তী সম্রাট হয়ে ভারতবর্ষকে নিজ নামে ধন্ত করেছেন, তার জন্মঘটনায় অবারিত প্রবৃত্তির যে কলঙ্ক পড়েছিল কবি তাকে তপস্যার অগ্নিতে দগ্ধ এবং দুঃখের অশ্রুজলে সম্পূর্ণ ধৌত না করে ছাড়েন নি । রঘুবংশ আরম্ভ হল রাজ্যেচিত ঐশ্বর্ধগৌরবের বর্ণনায় নয়। স্বদক্ষিণাকে বামে নিয়ে রাজা দিলীপ তপোবনে প্রবেশ করলেন । চতুঃসমুদ্র যার অনন্তশাসনা পৃথিবীর পরিখা সেই রাজা অবিচলিত নিষ্ঠায় কঠোর সংযমে তপোবনধেমুর সেবায় নিযুক্ত হলেন। সংযমে তপস্তায় তপোবনে রঘুবংশের আরম্ভ, আর মদিরায় ইন্দ্রিয়মত্ততায় প্রমোদভবনে তার উপসংহার। এই শেষ সর্গের চিত্রে বর্ণনার উজ্জলতা যথেষ্ট আছে। কিন্তু যে অগ্নি লোকালয়কে দগ্ধ করে সর্বনাশ করে সেও তে কম উজ্জল নয়। এক পত্নীকে নিয়ে লিীপের তপোবনে বাস শান্ত এবং অনতিপ্রকট বর্ণে অঙ্কিত, আর বহু নায়িকা · নিয়ে অগ্নিবর্ণের আত্মঘাতসাধন অসমৰ্বত বাহুলোর সঙ্গে যেন জলন্ত