পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3Երe ஆ শান্তিনিকেতন রেখায় বর্ণিত । o প্রভাত যেমন শাস্ত, যেমন পিঙ্গলজটাধারী ঋষিবালকের মতো পবিত্র, প্রভাত যেমন মুক্ত পাণ্ডুর সৌম্য আলোকে শিশিরস্নিগ্ধ পৃথিবীর উপরে ধীরপদে অবতরণ করে এবং নবজীবনের অভু্যদয়বার্তায় জগৎকে উদবোধিত করে তোলে, কবির কাব্যেও তপস্যার দ্বারা স্বসমাহিত রাজমাহাত্ম্য তেমনি স্নিগ্ধ তেজে এবং সংযত বাণীতেই মহোদয়শালী রঘুবংশের সূচনা করেছিল। আর, নানাবর্ণবিচিত্র মেঘজীলের মধ্যে আবিষ্ট অপরাহ্ল আপনার অদ্ভূত রশ্মিচ্ছটায় পশ্চিম-আকাশকে যেমন ক্ষণকালের জন্যে প্ৰগলভ করে তোলে এবং দেখতে দেখতে ভীষণ ক্ষয় এসে তার সমস্ত মহিমা অপহরণ করতে থাকে, অবশেষে অনতিকালেই বাক্যহীন কর্মহীন অচেতন অন্ধকারের মধ্যে সমস্ত বিলুপ্ত হয়ে যায়, কবি তেমনি করেই কাব্যের শেষ সর্গে বিচিত্র ভোগায়োজনের ভীষণ সমারোহের মধ্যেই রঘুবংশজ্যোতিষ্কের নির্বাপণ বর্ণনা করেছেন। কাব্যের এই আরম্ভ এবং শেষের মধ্যে কবির একটি অস্তরের কথা প্রচ্ছন্ন আছে। তিনি নীরব দীর্ঘনিশ্বাসের সঙ্গে বলছেন, ‘ছিল কী আর হয়েছে কী। সে কালে যখন সম্মুখে ছিল অভু্যদয় তখন তপস্যাই ছিল সকলের চেয়ে প্রধান ঐশ্বর্য, আর এ কালে যখন সম্মুখে দেখা যাচ্ছে বিনাশ তখন বিলাসের উপকরণরাশির সীমা নেই আর ভোগের অতৃপ্ত বহি সহস্ৰ শিখায় জলে উঠে চারি দিকের চোখ ধাধিয়ে দিচ্ছে।’ কালিদাসের অধিকাংশ কাব্যের মধ্যেই এই দ্বন্ধটি স্বম্পষ্ট দেখা যায়। এই দ্বন্দ্বের সমাধান কোথায় কুমারসম্ভবে তাই দেখানে হয়েছে। কবি এই কাব্যে বলেছেন ত্যাগের সঙ্গে ঐশ্বর্ষের, তপস্তার সঙ্গে প্রেমের সম্মিলনেই শৌর্যের উদ্ভব ; সেই শৌর্বেই মানুষ সকলপ্রকার পরাভব হতে উদ্ধার পায়। . 曙 Η অর্থাৎ, ত্যাগের ও ভোগের সামগ্রস্তেই পূর্ণ শক্তি। ত্যাগী শিব