পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছুটির পর 8ఈ తి যদি মনে জানি আমাদের এই কর্ম সেই কল্যাণময় বিশ্বকর্মকেই লাভ করবার একটি সাধনা, তা হলে কর্মের মধ্যে স্বা-কিছু বিয় অভাব প্রতিকূলতা আছে তা আমাদের হতাশ করতে পারে না। কারণ, বিঘ্নকে অতিক্রম করাই যে আমাদের সাধনার অঙ্গ। বিঘ্ন না থাকলে যে আমাদের সাধনাই অসম্পূর্ণ হয়। তখন প্রতিকূলতাকে দেখলে কর্মনাশের ভয়ে আমরা ব্যাকুল হয়ে উঠি নে ; কারণ, কর্মফলের চেয়ে আরও যে বড়ো ফল আছে। প্রতিকূলতার সঙ্গে সংগ্রাম করলে আমরা কৃতকার্য হব বলে কোমর বাধলে চলবে না ; বস্তুত কৃতকার্য হব কি না তা জানি নে— কিন্তু প্রতিকূলতার সহিত সংগ্রাম করতে করতে আমাদের অস্তরের বাধা ক্ষয় হয়, তাতে আমাদের তেজ ভস্মমুক্ত হয়ে ক্রমশ দীপ্যমান হয়ে ওঠে এবং সেই দীপ্তিতেই যিনি বিশ্বপ্রকাশ । আমার চিত্তে র্ত্যর প্রকাশ উন্মুক্ত হতে থাকে। আনন্দিত হও ষে কর্মে বাধা আছে। আনন্দিত হও যে কৰ্ম করতে গেলেই তোমাকে নানা দিক থেকে নানা আঘাত সইতে হবে এবং তুমি যেমনটি কল্পনা করছ বাৱম্বার তার পরাভব ঘটবে। আনন্দিত হও যে লোকে তোমাকে ভুল বুঝবে ও অপমানিত করবে। আনন্দিত হও যে তুমি যে বেতনটি পাবে বলে লোভ করে বসেছিলে বারম্বার তা হতে বঞ্চিত হবে । কারণ, সেই তো সাধনা। যে ব্যক্তি আগুন জালতে চায় সে ব্যক্তির কাঠ পুড়ছে বলে দুঃখ করলে চলবে কেন ? ষে কৃপণ শুধু শুষ্ক কাঠই কৃপাকার করে তুলতে চায় তার কথা ছেড়ে দাও । তাই ছুটির পরে কর্মের সমস্ত বাধাবিঘ্ন সমস্ত অভাব অসম্পূর্ণতার মধ্যে আজ আনন্দের সঙ্গে প্রবেশ করছি। কাকে দেখে ? যিনি কর্মের উপরে বসে আছেন তার দিকেই চেয়ে । т і μά তার দিকে চাইলে কর্মের বল বাড়ে, অথচ উগ্রতা চলে বায় ; চেষ্টার চেষ্টারূপ আর দেখতে পাই নে, তার শাস্কিমূর্তিই ব্যক্ত হয় ;