পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 e \o 卑 শাস্তিনিকেতন স্থান পায় না, আমাদের হৃদয়ের উপর দিয়ে তেমনি করে এই প্রবাহ বেন বহুে না যায়। ঈশ্বরের প্রসাম্রোত আজ সমস্ত পৃথিবীর উপর দিয়ে বিশেষভাবে প্রবাহিত হবার সময় এখানে এসে একবারটি যেন পাক খেয়ে দাঁড়ায়। সমস্ত আশ্রমটি যেন কানায় কানায় ভরে ওঠে। শুধু আমাদের এই ক্ষুদ্র আশ্রমটি কেন, পৃথিবীর যেখানে যে-কোনো ছোটোবড়ো সাধনার ক্ষেত্র অাছে মঙ্গলবারিতে আজ পূর্ণ হোক। আশ্রমে বাস করে এই দিনে জীবনকে ব্যর্থ হতে দিয়ে না। এখানে কি শুধু তুচ্ছ কথায় মেতে, হিংসাদ্বেষের মধ্যে থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বার্থ লয়ে দিন কাটাতে এসেছ ? শুধু পড়া মুখস্থ করে, পরীক্ষা, পাস ক’রে, ফুটবল খেলে এত বড়ে একটা জীবনকে নিঃশেষ করে দেবে ? কখনোই না— এ হতেই পারে না। এই যুগের ধর্ম তোমাদের প্রাণকে স্পর্শ করুক। তপস্যার দ্বারা স্বন্দর হয়ে তোমরা ফুটে ওঠে। আশ্রমবাস তোমাদের সার্থক হোক। তোমরা যদি মনুষ্যত্বের সাধনাকে প্রাণপণ করে ধরে না রাখ, শুধু খেলাধুলা পড়াশুনার ভিতর দিয়েই যদি । জীবনকে চালিয়ে দাও, তবে যে তোমাদের অপরাধ হবে তার আর মার্জন নেই– কারণ, তোমরা আশ্রমবাসী। আঁবার বলি, তোমরা কোন কালে এই পৃথিবীতে এসেছ, ভালে৷ করে সেই কালের বিষয় ভেবে দেখে। বর্তমান কালের একটি স্ববিধ এই বিশ্বের মধ্যে যে চাঞ্চল্য উঠেছে একই সময়ে সকল দেশের লোক তা অনুভব করছে। পূর্বে এক স্থানে তরঙ্গ উঠলে অন্ত স্থানের লোকেরা তার কোনোই খবর পেত না। প্রত্যেক দেশটি স্বতন্ত্র ছিল। এক দেখের খবর অন্ত দেশে গিয়ে পৌছবার উপায় ছিল না। এখন আর সে দিন নেই শের কোনাে স্থানে ঘ লেগে তরঙ্গ উঠলে সেই তরঙ্গ । শুধু দেশের মধ্যে না, সমস্ত পৃথিবীর ভিতর দিয়ে তীরের মতো ছুটে চলে। শমী সকলে এক হয়ে দাড়াই।, কত চকুতে আমরা বল