পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বর্তমান যুগ 8 e 4 পাই, সত্যকে আঁকড়ে ধরবার যে মহানির্বাতন তাকে অনায়ালেই সহ করতে পারি, নানা দিক হতে দৃষ্টান্ত ও সমবেদন এসে জোর দেয়— এ কি কম কথা ? নিজেকে অসহায় বলুে মনে করি না। এই তো মহা স্বযোগ। এমন দিনে মাশমবাসের স্থযোগকে হারিয়ে না। জীবন যদি তোমাদের ব্যর্থ হয় আশ্রমের কিছুই আসে যায় না— ক্ষতি তোমাদেরই। গাছ ভরে বউল আসে। সকল বউলেই ষে ফল হয় এমন ময়। কত ক’রে পড়ে, শুকিয়ে যায়, তবু ফলের অভাব হয় না। ভাল ভরে ফল ফলে ওঠে। ফল হল না বলে গাছ দুঃখ করে না ; জুঃখ বার} বউলের তারা যে ফলে পরিণত হয়ে উঠতে পারল না। এই আশ্রম যখন প্রস্তুত হতেছিল, বৃক্ষগুলি যখন ধীরে ধীরে আলোর দিকে মাথা তুলে ধরছিল, তখনও এই নূতন যুগের কোনোই সংবাদ এসে পৃথিবীতে পৌছায় নি। অজ্ঞাতসারেই আশ্রমের . ঋষি এই যুগের জন্য আশ্রমের রচনাকার্ষে নিযুক্ত ছিলেন ; তখনও বিশ্বমন্দিরের দ্বার উদঘাটিত হয় নি, শঙ্খ ধ্বনিত হয়ে ওঠে নি। বিংশ শতাব্দীর জন্য বিশ্বদৈবতা গোপনে গোপনে কী-বে এক বিপুল আয়োজন করছিলেন তার লেশমাত্রও আমরা জানভূম না। আজ সহসা মন্দিরের দ্বার উদঘাটিত হল— আমাদের কী পৰম সৌভাগ্য। আজ বিশ্বদেবতাকে দর্শন করতেই হবে, অন্ধ হয়ে ফিরে গেলে কিছুতেই চলবে না।.জাজ প্রকাও উৎসব ; এই উৎসব এক দিনের নয়, দু দ্বিনের নয়— अडॉकीব্যাপী উৎসব। এই উৎসব কোনো বিশেষ স্থানের নয়, কোনো বিশেষ জাতির নয়। এই উৎসব সমগ্র মানবজাতির জগৎজোড়া উৎসব।' এসে আমরা সকলে একত্র হই, বাহির হয়ে পড়ি । দেশে কোনো রাজার যখন আগমন হয়, তাকে দেখবার জন্য যখন খি বাহির হয়ে আলি, তখন মলিন জীর্থ-বস্ত্রকে ত্যাগ করতে হয় ; रुँदैन'भौम বস্ত্ৰে দেহকে সজ্জিত কুরি #’ আজ দেশের রাজা নন, সমগ্র জগঞ্জে রাজা