পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢ o) হিসাব রোজ কেবল লাভের কথাটাই শোনাতে ইচ্ছে হয়। হিসাবের কথাটা পাড়তে মন যায় না। ইচ্ছে করে কেবল রসের কথাটা নিয়েই নাড়াচাড়া করি, যে পাত্রের মধ্যে সেই রস থাকে সেটাকে বড়ো কঠিন বলে মনে হয় । কিন্তু, অমৃতের নীচের তলায় সত্য বসে রয়েছেন, তাকে একেবারে বাদ দিয়ে সেই আনন্দলোকে যাবার জো নেই। সত্য হচ্ছেন নিয়মস্বরূপ। তাকে মানতে হলেই তার সমস্ত বাধন মানতেই হয়। যা-কিছু সত্য, অর্থাৎ যা-কিছু আছে এবং থাকে, তা কোনোমতেই বন্ধনহীন হতে পারে না— তা কোনো নিয়মে আছে বলেই আছে। যে সত্যের কোনো নিয়ম নেই, বন্ধন নেই, সে তো স্বপ্ন, সে তো খেয়াল— সে তো স্বপ্নের চেয়েও মিথ্যা, খেয়ালের চেয়েও ੋਗ | যিনি পূর্ণ সত্যস্বরূপ তিনি অন্যের নিয়মে বদ্ধ হন না, তার নিজের নিয়ম নিজেরই মধ্যে। তা যদি না থাকে, তিনি আপনাকে যদি আপনি বেঁধে না থাকেন, তবে তার থেকে কিছুই হতে পারে না, কিছুই রক্ষা পেতে পারে না। তবে উন্মত্ততার তাণ্ডবনৃত্যে কোনো-কিছুর কিছুই ঠিকানা থাকত না । কিন্তু, আমরা দেখতে পাচ্ছি সত্যের রূপই হচ্ছে নিয়ম— একেবারে অব্যর্থ নিয়ম— তার কোনো প্রান্তেও লেশমাত্র ব্যত্যয় নেই। এইজন্যেই এই সত্যের বন্ধনে সমস্ত বিশ্বব্রহ্মাও বিধৃত হয়ে আছে, এইজন্যই সত্যের সঙ্গে আমাদের বুদ্ধির যোগ আছে এবং তার প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ নির্ভর আছে। গাছের যেমন গোড়াতেই দরকার শিকড় দিয়ে ভূমিকে অঁাকড়ে