পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e শান্তিনিকেতন واه মস্ত লাভের দিকে তাকিয়ে আছে তারা ছোট্ট গরমিলকেও ডরায়— তারা হিসাবকে একেবারে নিখুত সত্য না করে বঁাচে না । তাই বলছিলুম, সেই যে পরমরস প্রেমরস, তার মহাজন যদি হতে চাই তবে হিসাবের খাতাকে নীরস বলে একটু ফাকি দিলেও চলবে না। যিনি অমৃতের ভাণ্ডারী তার কাছে বেহিসাবি আবদার একেবারেই খাটবে না। তিনি ষে মস্ত হিসাবি– এই প্রকাও জগদব্যাপারে কোথাও হিসাবের গোল হয় না— তার কাছে কোন লজ্জায় গিয়ে বলব, ‘আমি আর কিছু জানি নে, আর কিছু মানি নে, আমাকে কেবল প্রেম দাও, আমাকে প্রেমে মাতাল করে তোলো।’ আত্মা যেদিন অমৃতের জন্যে কেঁদে ওঠে তখন সর্বপ্রথমেই বলে, ‘অসতো মা সদগময়— আমার জীবনকে, আমার চিত্তকে, সমস্ত উচ্ছৃঙ্খল অসত্য হতে সত্যে বেঁধে ফেলো— অমৃতের কথা তার পরে।’ আমাদেরও প্রতিদিন সেই প্রার্থনাই করতে হবে ; বলতে হবে, ‘আসতো মা সদগময়— বন্ধনহীন অসংযত অসত্যের মধ্যে আমাদের মন হাজার টুকরো করে ছড়িয়ে ফেলতে দিয়ে না— তাকে অটুট সত্যের স্থত্রে সম্পূর্ণ করে বেঁধে ফেলো— তার পরে সে হার তোমার গলায় যদি পরাতে চাই তবে আমাকে লজ্জা পেতে হবে না।’ ৬ পৌষ শান্তিনিকেতনে ৭ই পৌষের উৎসব উৎসব তো আমরা রচনা করতে পারি নে, যদি সুযোগ হয় তবে উৎসব আমরা আবিষ্কার করতে পারি। সত্য যেখানেই সুন্দর হয়ে প্রকাশ পায় সেইখানেই উৎসব। সে প্রকাশ কবেই বা বন্ধ আছে। পাখি তো রোজই ভোর-রাত্রি থেকেই