পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতনে ৭ই পৌষের উৎসব too জুইফুলটির মতো আমাদের এই এতটুকু প্রেমকে না ফুটিয়ে তুলতে পারি। এইজন্তেই বিশ্বেশ্বরের জগদব্যাপী মহোৎসবেও আমরা ঠিকমত যোগ দিতে পারি না যদি আমরা নিজের ক্ষুদ্র আয়োজনটুকু নিয়ে উৎসব না করি। আমাদের অহংকার আজ তাই আকাশপরিপূর্ণ জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর চোখের সামনে নিজের এই দরিদ্র আলোকয়টা নির্লজ্জভাবে জালিয়েছে । আমাদের অভিমান এই যে, আমরা নিজের আলো দিয়েই র্তাকে দেখব। আমাদের এই অভিমানে মহাদেব খুশি, তিনি হাসছেন । আমাদের এই প্রদীপক’টা জালা দেখে সেই কোটি সূর্যের অধিপতি আনন্দিত হয়েছেন । এই তো তার প্রসন্ন মুখ দেখবার শুভ অবসর। এই স্থযোগটিতে আমাদের সমস্ত চেতনাকে জাগিয়ে তুলতে হবে। এই চেতন। আমাদের সমস্ত শরীরে জেগে উঠে রোমে রোমে পুলকিত হোক, এই চেতনা দিবালোকের তরঙ্গে তরঙ্গে স্পন্দিত হোক, নিশীথরাত্রির অন্ধকারের মধ্যে পরিব্যাপ্ত হোক— আজি সে যেন ঘরের কোণে ঘরের চিন্তায় বিক্ষিপ্ত না হয়, নিখিলের পক্ষে যেন মিথ্যা হয়ে না থাকে— আজ সে কোনোখানে সংকুচিত হয়ে বঞ্চিত না হয়। অনন্ত সভার সমস্ত আয়োজন, সমস্ত দর্শন স্পশন মিলন কেবল এই চৈতন্তের উদবোধনের অপেক্ষায় আছে– এইজন্যে আলো জলছে, বাশি বাজছে, দূতগুলি চতুর্দিক থেকেই দ্বারে এসে দাড়িয়েছে, সমস্তই প্রস্তুত, ওরে চেতনা, তুই কোথায় । ওরে, উত্তিষ্ঠত জাগ্রত। ৭ পৌষ