পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՆՑ দীক্ষা । একদিন যার চেতনা ৰিলাসের আরামশষ্য থেকে হঠাৎ জেগে উঠেছিল, এই ৭ই পৌষ দিনটি সেই দেবেন্দ্রনাথের দিন। এই দিনটিকে তিনি আমাদের জন্তে দান করে গিয়েছেন। রত্ব ৰেমন করে দান করতে হয় তেমনি করে দান করেছেন । ওই দিনটিকে এই আশ্রমের কেউটোটির মধ্যে স্থাপন করে দিয়ে গেছেন। আজ কোঁটো উদ্‌ঘাটন করে রত্বটিকে এই প্রাস্তরের আকাশের মধ্যে তুলে ধরে দেখব, এখানকার ধূলিলিহীন নির্মল নিভৃত আকাশতলে যে নক্ষত্রমণ্ডলী দীপ্তি পাচ্ছে সেই তারাগুলির মাঝখানে তাকে তুলে ধরে দেখব। সেই সাধকের জীবনের ৭ই পৌষকে আজ উদ্‌ঘাটন করার দিন— সেই নিয়ে আমরা আজ উৎসব করি । جالبین এই ৭ই পৌষের দিনে সেই ভক্ত র্তার দীক্ষাগ্রহণ করেছিলেন— সেই দীক্ষার যে কত বড়ো অর্থ আজকের দিন কি সে কথা আমাদের কাছে কিছু বলছে ? সেই কথাটি না শুনে গেলে কী জন্যেই বা এসেছি আর কী নিয়েই ব৷ যাৰ ? , , ‘. . . সেই যেদিন তার জীবনে এই ৭ই পৌষের স্বর্য একদিন উদিত হয়েছিল সেই দিনে আলোও জলে নি, জনসমাগমও হয় নি— সেই শীতের নির্মল দিমটি শম্ভ ছিল, স্তন্ধ ছিল। সেই দিনে যে কী ঘটছে তা তিনি নিজেও সম্পূর্ণ জানেন নি; কেবল অন্তর্যামী বিধাতাপুরুষ জানছিলেন । ” সেই ষে দীক্ষণ সেদিন তিনি গ্রহণ করেছিলেন সেটি সহজ ব্যাপার নয়। ধু সে শুধু শাস্তির দীক্ষা নয়, সে অগ্নির দীক্ষা। তার প্রভু সেদিন র্তাকে বলেছিলেন, ‘এই-বে জিনিসটি তুমি আজ আমার হাত থেকে নিলে এটি যে সত্য— এর ভার যখন গ্রহণ করেছ তখন তোমার আর