পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

यांकृष ჯ9?`) অবিচ্ছিন্ন মিল থাকত তা হলে আমাদের মধ্যে এই হাজার স্বরে চাওয়ার বালাই থাকত না । o আজ অন্ধকার প্রত্যুষে বসে আমার চারি দিকে সেই বিচিত্র চাওয়ার কোলাহল শুনছিলুম— কত দরকারের হাক । ‘ওরে, গোরুট কোথায় গেল ! অমুক কই ! আগুন চাই রে! তামাক কোথায় ! গাড়িটা ডাক্ রে ! হাড়িটা পড়ে রইল ষে।” এক জাতের পাখি সকালে যখন গান গায় তখন তারা এক স্বরে এক রকমেরই গান গায়— কিন্তু মানুষের এই-যে কলধ্বনি তাতে এক জনের সঙ্গে আর-এক জনের না আছে বাণীর মিল, না আছে স্বরের। কেননা ভগবান ওই-যে অহংকারটি জুড়ে দিয়ে আমাদের জগতের সঙ্গে ভেদ জন্মিয়ে দিয়েছেন তাতে আমাদের প্রত্যেককে স্বতন্ত্র করে দিয়েছেন। আমাদের রুচি আকাজক্ষা চেষ্টা সমস্তই এক-একটি ভিন্ন ভিন্ন কেন্দ্র আশ্রয় করে এক-একটি অপরূপ মূর্তি ধরে বসে আছে। কাজেই একের সঙ্গে আরের ঠেকাঠেকি ঠোকাঠুকি চলেইছে। কাড়াকাড়ি টানাটানির অস্ত নেই। তাতে কত বেস্থর কত উত্তাপ ষে জন্মাচ্ছে তার আর সীমা নেই। সেই বেস্বরে পীড়িত, সেই তাপে তপ্ত, আমাদের স্বাতন্ত্র্যগত অসামঞ্জস্য কেবলই সামঞ্জস্যকে প্রার্থনা করছে ; সেইজন্যেই আমরা কেবলমাত্র খেয়ে প’রে জীবন ধারণ করে বাচি নে । আমরা একটা স্বরকে, একটা মিলকে চাচ্ছি। সে চাওয়াটা আমাদের খাওয়াপরার চাওয়ার চেয়ে বেশি বৈ কম নয়— সামঞ্জস্য আমাদের নিতান্তই চাই। সেইজন্যেই কথা নেই বার্তা নেই, আমরা কাব্য রচনা করতে বসে গেছি— কত লিখছি, কত আঁকছি, কত গড়ছি। কত গৃহ কত সমাজ বাধছি, কত ধর্মমত ফাদছি। আমাদের কত অনুষ্ঠান, কত প্রতিষ্ঠান, কত প্রথা। এই সামঞ্জস্তের আকাঙ্ক্ষার তাগিদে নানা দেশের মানুষ কত নানা আকৃতির রাজ্যতন্ত্র গড়ে তুলছে। কত