পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांकूरव צרי না হলে মিলন হয় না, মিলন না হলে প্রেম হয় না। মানুষ তাই বিচ্ছেদপারাবারের পারে বসে প্রেমকেই নানা আকারে চাইতে চাইতে নানা রকমের তরী গড়ে তুলছে— এ সমস্তই তার পার হবার তরণী— রাজ্যতন্ত্রই বল, সমাজতন্ত্রই বল, আর ধর্মতন্ত্রই বল । কিন্তু, তাই যদি হয় তবে পার হয়ে যাব কোথায় ? তবে কি অহংকারকে একেবারেই লুপ্ত করে দিয়ে সম্পূর্ণ অবিচ্ছেদের দেশে যাওয়াই অমৃতলোক-প্রাপ্তি ? সেই দেশেই তো ধুলা মাটি পাথর রয়েছে। তারা তো সমষ্টির সঙ্গে একতানে মিলে চলেছে, কোনো বিচ্ছেদ জানে না । এই রকমের আত্মবিলয়ের জন্যেই কি মানুষ কাদছে ? কখনোই নয়। তা যদি হত সকলপ্রকার বিলয়ের মধ্যেই সে সাত্বন৷ পেত, আনন্দ পেত। বিলুপ্তিকে যে মানুষ সর্বাস্তঃকরণে ভয় করে তার প্রমাণ-প্রয়োগের কোনো দরকার নেই। কিছু-একটা গেল এ কথার স্মরণ তার সুখের স্মরণ নয়। এই আশঙ্কা এবং এই স্মরণের সঙ্গেই তার জীবনের গভীর বিষাদ জড়িত— সে ধরে রাখতে চায় অথচ ধরে রাখতে পারে না। মানুষ সর্বাস্তঃকরণে যদি কিছুকে না চায় তো সে বিলয়কে । তাই যদি হল তবে যে অসামঞ্জস্য, যে বিচ্ছেদের উপর তার স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠিত, সেইটেকে কি সে চায় ? তাও তো চায় না। এই বিচ্ছেদ এই অসামঞ্জস্তের জন্যেই তো সে চিরদিন কেঁদে মরছে। তার যত পাপ যত তাপ সে তো একেই আশ্রয় করে। এইজন্যেই তে। সে গান গেয়ে উঠছে, ‘হরি আমায় বিনা মূল্যে পার করে। কিন্তু, পারে যাওয়া যদি লুপ্ত হওয়াই হল তবে তো আমরা মুশকিলেই পড়েছি। তবে তো এ পারে দুঃখ আর ও পারে ফাকি । আমরা কিন্তু দুঃখকেও চাই নে ফাকিকেও চাই নে। তবে আমরা কী চাই, আর সেটা পাবই বা কী করে ? আমরা প্রেমকেই চাই। কখন সেই প্রেমকে পাই ? যখন বিচ্ছেদ