পাতা:শান্তিলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাত তখন প্ৰায় দেড়টা, শান্তিলতার ঘরের শিকল ঝনঝনি করে বেজে উঠল : -শান্তি, ওঠ ! দেখ, কে এসেছে! ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে শান্তিলতা। ঘুমভাঙা কানে চন্দ্রনাথের গলার স্বরটুিকুই সে শোনে। আর কিছু কানে ঢোকে না । সলতেটা উসকে দিয়ে খিল খুলে দরজার সামনে এসে দাঁড়ায়। এলো খোপা খুলে গিয়ে চুলগুলো এলোমেলো ছিটানো। আঁচলখানা বঁ হাত বেয়ে ঝুলে পড়েছে। মেঘভাঙা জ্যোৎস্নার ধূসর আলো বুকের কালোর সঙ্গে মিশে বোতামখোলা জামার ফাক দিয়ে অদ্ভূত অচেনা এক চাপা রঙের আভা ঝিলিক দিয়ে ওঠে। দুই পাল্লায় দুই হাত রেখে কিছুক্ষণ নিশ্চল হয়ে দাড়িয়ে থাকে শান্তিলতা। খুটিয়ে খুটিয়ে চন্দ্রনাথের মুখের প্রত্যেকটি ভাজকে চিনে নিতে চায় যেন। তারপর আস্তে আস্তে ঘুমভাঙা ভারী গলায় বলে : —হাতমুখ ধুয়ে ঘরে এসো। দাড়াও, গামছাটা এনে দিই। কজির ওপর দিয়ে গামছাখানা বুলিয়ে হাতে সাবান নিয়ে বেরোতে গিয়ে চৌকাঠের ওপরেই থমকে দাড়িয়ে পড়ে শান্তিলতা । তীক্ষ্ম আর্ত চিৎকারে ফেটে পড়ে। : — বাব ! দরজার দিকে মুখ করে দাওয়ার খুটিতে ঠেস দিয়ে বসে আছে \