পাতা:শান্তিলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চন্দ্রনাথকে নিয়মিত জীবিকার ভরসা দিয়েছে সুখোন্দু। লড়াই থেমে গেলে ইছাপুর বন্দুক কারখানা থেকে ছাঁটাই হয়ে স্বাধীন ব্যবসায় নেমেছে সুখে দু। শহরতলীর এক স্টেশনের গায়ে তার সাইকেল মেরামতের দোকান দু-তিন বছরের মধ্যেই বেশ জেকে উঠেছে। এক হাতে সব কাজ সামাল দিতে পারে না - একটি লোকও রেখেছে। হাতে তার এখন কিছু পুজিও জমেছে। তাই দিয়ে সে আরও বড় কিছু ফাদবার মতলব ভাঁজছে। সুখেন্দু চায় চন্দ্রনাথ সাইকেলের দোকানে গিয়ে বসে। তাকে হাতেকলমে কিছু করতে হবে না। চন্দ্রনাথ শুধু তদারক করবে, মালপত্তরের উপর নজর রাখবে, টাকা পয়সার হিসাব রাখবে। এইভাবে অবসর পেয়ে সুখেন্দু আস্তে আস্তে একটা মোটর সারাইয়ের কারখানা গড়ে তুলবে। চন্দ্রনাথ যদি এ দায়িত্ব নেয় সুখেদুতার সব অভাব পূর্ণ করে দেবে। শান্তিলতার ঘর থেকে বেরিয়ে বিমল যখন কলের এক পাশ ঘেঁষে দাড়ায় তখন সেখানে জলের উমেদারদের বেশ বড় লাইন দাড়িয়ে গেছে। খানিক দূরে রাস্তার ওপারে হাইড্রান্টের চোয়ানো জল লোটায় ভরে স্নান শুরু হয়ে গেছে। বস্তির ধারে ছোট

  • ο

भांgिल७-२