পাতা:শান্তিলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নেই। তবু আজ মোতিলাল কাজ করতে যাবে শুনে রামসুখ যেন স্তম্ভিত হয়ে যায়। তার মুখ দেখে মোতিলালেরও ভাবনা লেগে, যায় যে তার অজান্তেই হয়তো বা মস্ত ব্যাপার কিছু ঘটে গেছে, যেজন্য আজ কাজে যাওয়াটা খুবই খাপছাড়া হবে। — কী ব্যাপার রামসুখ ? কী বলছ ? কাজে যাব না কেন আজ ? --কোটে যাবে না ? কাজে যাবে তো কোটে যাবে কী করে ? এবার মোতিলালের মুখের ভাব কঠিন হয়ে যায়। -কোটে যাব ? কোটে যাবার আমার দরকার কী ? --তোমার ছেলেকে হাজির করাবে না। আজ ? মোতিলাল মাটিতে থুতু ফেলে দাকণ অবজ্ঞার সুরে বলে : —ঠাঃ, ক'ত হাজির করছে । দাতনটা দাতে চিরে, মোতিলাল জিভ চাছে, মুখ ধোয়। একটা ফাক লরি জোরে বেরিয়ে যায়। তবু রামসুখ দ্বিধাভরে খানিকটা যেন জিজ্ঞাসার সুরেই বলে : – তবু একটা হুকুম যখন হয়েছে--হুকুম হয়েছে, তোমার শখ থাকে তুমি যাও। মিছিমিছি একটা দিনের মজুরি যাবে, বাসভাড়া যাবে, অতি গরজ আমার নেই। মোতিলালের দ্বিধা নেই, সংশয় নেই । বিচারক হুকুম দিলেই যে তার ছেলে আর তার সাথীদের আদালতে হাজির করবে।-সে বিশ্বাস করে না । বিনা বিচারে আটক বাতিল হবে না, এটা জানাই গেছে। কিন্তু বন্দীদের বিচারালয়ে হাজির করা হবে, এতে ও মোতিলালের এমন সুনিশ্চিত অবিশ্বাস যে একদিনের মজুরি R