পাতা:শান্তিলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই নিয়মের ব্যাখ্যা আর প্রয়োগ নিয়ে আজ গোল বেধেছে। আর একটা নিয়ম হয়েছিল, ভোরে একজন এক বালতি বা এক কলসীর বেশি জল পাবে না। সাতটার পর দু বালতি বা দু কলসী। পরদিনই ইস্কুলের সেকেণ্ড মাস্টার ফকিরর্চাদ পাঁচটি বাচ্চা, দুটি বড় কলসী আর চারটি বড় বালতি নিয়ে হাজির - বোধ হয় প্ৰতিবেশীর কাছে ধার করে। বাচ্চাগুলি তার নিজের । বাগাড়া আরম্ভ করেছিল লক্ষ্মী। সকলে তার পক্ষ নিয়েছিল। কিন্তু ফকিরর্চাদ কিছুতে মানবে না যে নিয়ম ভেঙেছে। একজনের এক বালতি-সে তো বেশি চাইছে না। বাচ্চারা কি মানুষ নয় ? অন্য কয়েকজনও ছেলেমেয়ে সঙ্গে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু ফকিরবাবুর মতো অতটা চালাক কেউ হতে পারে নি। তখন নিয়ম হয়, প্ৰত্যেকের জন্যে এক বালতি বটে, কিন্তু সে এমন বালতি হবে যা সে নিজে বইতে পারে। ফকিরবাবু হস্থিতস্বি করেছিল অনেক, কিন্তু সকলে মিলে যে নিয়ম করেছে তা না মেনে উপায় কী ! কলোনির দু-তিন জন ভদ্রলোকও তার বিপক্ষে দাঁড়ায়। আজ সেই ফকিরবাবুই চেঁচাচ্ছে বেশি। — যা নিয়ম আছে তা মানতে হবে। তোমরা কোন লাটসাহেব যে খুশিমতে নিয়ম ভাঙবে ? চলবে না ও সব। পিছনে দাড়াতে হবে তোমাদের-সবার পিছনে । লক্ষ্মী আকাশচের গলা শেষ পর্দায় তুলে বলে ; —আরো মরণ মোর। নিয়ম ভাঙলাম কিসে ? দু-পা গিয়ে দু-দণ্ড একটা লোকের সাথে কথা কয়েছি, তাতে লাইন ছেড়ে যাওয়া হল কোনখানটায় ? একটা বুড়ো মানুষের জোয়ান ছেলেটা br