পাতা:শান্তিলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DD LtuBDu BDB BuBDD DD BDBD LBBuBSS DD DDB কলোনিয়াল জীবনের সংকীর্ণতায় ও গ্লানিতে তা অতি অল্পকালের মধ্যেই আপনার ঐশ্বৰ্য খুইয়ে ফেলে; তারপর থেকে মাইকেল নিম্প্রভা। শুধু "আশার ছালনে ভুলি কি ফল লভিনু হায়’ বলে সেই বিরাট প্রতিভা জলে পুড়ে খাক হয়ে গেল। নজরুলও বিংশ শতকের মানবমুক্তির একটা মহালগ্নকে আশ্রয় করে একবারের মত এমনি বিপ্লবী চেতনায় আপন বিদ্রোহী প্ৰতিভাকে উদ্দীপ্ত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কাল সংঘাতে তা সম্ভব হয় নি। বিদ্রোহী কবির আত্মদ্রোহী রূপই ক্রমে তাকে আচ্ছন্ন করে ফেললে। যুগ-সংকটের সেই তীব্রতর লগ্নে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবির্ভব তখন আর সাময়িক ভাবেও এরূপ মহৎ আশায় প্ৰবুদ্ধ হওয়া সম্ভবপর ছিল না । বিংশ শতকের ১৯২৫ থেকে ১৯৩৫ পৰ্যন্ত কালটি বিশ্বসংকটেরও একটি তমিস্ৰা-ঘন পর্ব। বিচক্ষণ বৈজ্ঞানিকের-সোবিয়েত সাম্যবাদ “এক নূতন সভ্যতা ?”-এ প্রশ্ন অবশ্য উদিত হয়েছে। কিন্তু পৃথিবী-ব্যাপী তখন আর্থিক সংকট, ফ্যাশিস্ত-দানবতার তখন দাপট । মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বদেশে ও সাহিত্যেও তখন পর্বটা শুধু রবীন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্রের পর্ব নয়। ইউরোপের প্ৰথম যুদ্ধোত্তর পর্বের অশ্রদ্ধাকে ( সিনিসিজম) বাঙালী নাকী সুরে ও বর্ণচোরা ভাবালুতায় ঢালাই করছিলেন অতি-আধুনিক সাহিত্যিকরা-নকল হলেও এটা একটা পৰ্ব-লক্ষণ। কারণ প্ৰতিবাদের সুর সার্থক ভাবে তুলেছিলেন শৈলজানন্দ, প্রেমেন্দ্ৰ প্ৰমুখ লেখক-গোষ্ঠী। কৃতী তরুণ লেখকেরা অনেকেই সন্ধান করছিলেন রুতিত্বের পথ, কিন্তু যুগের নিজস্ব রূপ বা নিজেদের বাণীরূপ তখনো তাদের চেতনায় প্ৰতিভাত হয়নি। বরং রবীন্দ্রনাথের প্ৰতিভাই আপনার নবীন বিকাশে তরুণদের সেই অসংবদ্ধ প্ৰতিবাদ-প্ৰয়াসকে লজ্জা দিয়ে সার্থক হয়ে উঠল কাব্যে, উপন্যাসে। অন্য দিকে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত স্রষ্টা সাহিত্য-ক্ষেত্রে তার অকৃত্রিম জীবনবোধ ও বিস্ময়রসের পাত্র নিয়ে উপস্থিত হয়ে সেই বিক্ষোভ ও প্ৰতিবাদের সুরকে যেন l/o