পাতা:শান্তিলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খেয়াল হয় যে এতক্ষণ সত্যই সে বোকার মতো কথা বলেছে, ব্যাখ্যা আর বিশ্লেষণ চালিয়ে গেছে। পৃথিবীতে দুর্ঘটনা কদাচিৎ ঘটে বলে ব্যাপারটা তুচ্ছ করে হেসে উড়িয়ে দিয়ে মায়ের আতঙ্ক কমানোই তার উচিত ছিল। সত্যই তো ! বাড়ির পাশে ঘটল এমন ভয়ানক বিমান দুর্ঘটনা। কয়েক দিন পরে সে বিমানে বিদেশ যাত্রা করবে। মার বুক তো श्रएश्g कद्रदशे । মুখ ফুটে কথা বলতে পারে না নলিনী—সব ঠিক হয়ে গেছে। বলেও লাভ নেই। কে তার কথা শুনবে ? নলিনীর হৃৎকম্প বেড়ে, আতঙ্কজড়ানো ব্যাকুলতায় দম যেন আটকে আসতে চায়। একটা দিন কোনোরকমে চুপ করে থেকে এবং সারা রাত না ঘুমিয়ে ছটফট করে কাটিয়ে পরদিন সকালে নলিনী ছেলেকে বলে : — জাহাজে গেলে হয় না ? আমার একটা কথা রাখা। প্লেনে না গিয়ে তুই জাহাজে যা ! কটা দিন না হয় দেরিই হবে 6औछड। মুখ দেখলে মনে হয় নলিনী যেন কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছে। কুমার বলে : —সব ঠিক হয়ে গেছে, আর কি পালটানো যায় ? তুমি এমন করছি কেন মা ? এত লোক হরদম প্লেনে যাতায়াত করছে, তোমাব ছেলের বেলাতেই বিপদ ঘটবে ? পাগলামি কোরো না । হাজার হাজার লোক প্লেনে চাকরি করে। হাপ্তায় তাদের নিয়মমত কয়েক বার দূরে দূরে পাল্লা দিতে হয়। তাদের মায়েদের কথা ভেবে মনটা

  • द्ध कालों ।