এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উপনন্দের প্রবেশ
লক্ষেশ্বর
কী রে, তোর প্রভু কিছু টাকা পাঠিয়ে দিলে? অনেক পাওনা বাকি।
উপনন্দ
কাল রাত্রে আমার প্রভুর মৃত্যু হয়েছে।
লক্ষেশ্বর
মৃত্যু! মৃত্যু হলে চলবে কেন। আমার টাকাগুলোর কী হবে।
উপনন্দ
তাঁর তো কিছুই নেই। যে বীণা বাজিয়ে উপার্জন। ক’রে তোমার ঋণ শোধ করতেন সেই বাণাটি আছে মাত্র।
লক্ষেশ্বর
বীণাটি আছে মাত্র! কী শুভ সংবাদটাই দিলে।
উপনন্দ
আমি শুভ সংবাদ দিতে আসি নি। আমি একদিন পথের ভিক্ষুক ছিলেম, তিনিই আমাকে আশ্রয় দিয়ে তাঁর বহুদুঃখের অন্নের ভাগে আমাকে মানুষ করেছেন। তোমার কাছে দাসত্ব ক’রে আমি সেই মহাত্মার ঋণ শোধ করব।
লক্ষেশ্বর
বটে! তাই বুঝি তাঁর অভাবে আমার বহু দুঃখের
১১