পাতা:শারদোৎসব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 অন্নে ভাগ বসাবার মৎলব করেছ। আমি তত বড়ো গর্দভ নই। আচ্ছা, তুই কী করতে পারিস বল্ দেখি।

উপনন্দ

 আমি চিত্রবিচিত্র ক’রে পুঁথি নকল করতে পারি।— তোমার অন্ন আমি চাই নে। আমি নিজে উপার্জন ক’রে যা পারি খাব, তোমার ঋণও শোধ করব।

লক্ষেশ্বর

 আমাদের বীণকারটিও যেমন নির্বোধ ছিল ছেলেটাকেও দেখছি ঠিক তেমনি করেই বানিয়ে গেছে। হতভাগা ছোঁড়াটা পরের দায় ঘাড়ে নিয়েই মরবে। এক-একজনের ঐরকম মরাই স্বভাব।

 আচ্ছা বেশ, মাসের ঠিক তিন তারিখের মধ্যেই নিয়মমতো টাকা দিতে হবে। নইলে—

উপনন্দ

 নইলে আবার কী। আমাকে ভয় দেখাচ্ছ মিছে। আমার কী আছে যে তুমি আমার কিছু করবে। আমি আমার প্রভুকে স্মরণ করে ইচ্ছা করেই তোমার কাছে বন্ধন স্বীকার করেছি। আমাকে ভয় দেখিয়ো না বলছি।

লক্ষেশ্বর

 না না, ভয় দেখাব না। তুমি লক্ষ্মীছেলে, সোনার-চাঁদ ছেলে। টাকাটা ঠিকমতো দিয়ো বাবা। নইলে আমার ঘরে

১২