পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/১৮

দ্বিতীয় অধ্যায় । Yoo হইবে।” কিন্তু র্যাহার। ঈদৃশ চিন্ত ও অনুষ্ঠান করেন তাহারা জগদীশ্বরের ইচ্ছা ও নিয়মের সম্পূর্ণ বিরোধী। ঈশ্বর তাহাকে যাহ। না করিয়াছেন তিনি তাহাই হইতে চেষ্ট করেন। পাপাঙ্কিত বৃথা আমোদে স্বাস্থ্য ও চরিত্র দূষিত এবং ধনাপব্যয় হয়। পার্থিব মুখ সন্তোগের প্রধান আধার স্বাস্থ্য। শরীর সুস্থ না থাকিলে জীবন - ভারাবহু হইয় উঠে। কিন্তু ঐশ্বর্যশালী ব্যক্তির। অমানুষ ইন্দ্রিয় সম্ভোগ ও মাদক সেবনে রত হইয়া আমাদের অযোগ্য মন্দিরে শারীরিক মঙ্গলের বলি-প্রদান করেন। পরিশেষে তাহাদের শরীর জীর্ণশীর্ণ হইয়। নানাবিধ ক্লেশোৎপাদক ব্যাধির আধার হয়, এবং অপকাল মধ্যে বাৰ্দ্ধক্য দশ উপস্থিত হইয়। জীবন সংক্ষেপ করিয়া ফেলে। র্তাহীদের ধন যত অধিক হউক না কেন, কুবেরাপেক্ষ বিত্তশালী হইলেও, নীতি বিৰুদ্ধ আমোদে অসুরক্ত হইলে, ধননাশের প্রশস্ত মার্গ আবিষ্কৃত হয়। কারণ, কার্ষ্যে মনোযোগিতা এবং স্বসম্পত্তি পর্যবেক্ষণ র্তাহাদের নিকট দুরূহ ভারাবহ হইয়। উঠে। র্তাহার কায়মনোবাক্যে তৎ সমস্ত হইতে দূরে অবস্থিতি করেন। স্কায়ানুগত ধন-ব্যবহারকে র্তাহারা নীচাত্মাস্থলভ অধম আচরণ বলিয়া ঘৃণা করেন। রিপুর পরিবর্দ্ধনশীল আবশ্যকতা চলিতাৰ্থ করিবার জন্য দিন দিন অধিকতর ধনের প্রয়োজন হইতে থাকে ; চৌৰ্য-বৃত্তি কাৰ্য্যাধ্যক্ষেরা তাহার মানসিক দৌৰ্ব্বল্যের সুবিধা গ্রহণ করিয়া অনুজ্ঞা মাত্র ব্যয় যোগাইতে থাকে। এবং স্বতঃ পরতঃ অধিকাংশ ধনের অপহরণ করিয়া পরিণামে শূন্সকোষ ও রিক্তংg ধনাভিমানীকে অপন হুঙ্কর্মের ফলভোগে নিপাতিত করতঃ প্রস্থান করে। অমান্বষ কার্যে রত হইলে শীঘ্রই চরিত্র দূষিত হয়। সৰ্ব্বদ কুকৰ্ম্মে কাল হরণ করাতে, লোকে তাহার স্বভাব বিল ক্ষণ বুঝির লয় ; আর গুৰুত্ব থাকে না ; বরং পরিশেষে অগণ্য হতবুদ্বিদিগের দলের সামীল হইয় পড়েন। পাপাতিশয্য এবং নীতিবিক আমোদানুরাগ নিবন্ধন জনসাধারণের স্থণা ও অপ্রিয়তার ভাজন হইতে হয়। যদিও তিনি চাটুকার অধীনের নিকট প্রশংসা ভাজন