পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায়। **) হয় না। নগর, পল্লী, জনসাধারণ মন হইতে তিরোহিত হইয়া, স্বকীয় লঘুচেত দলবলই সৰ্ব্বস্ব হইয় উঠে। - ঈদৃশ বিষয় বিলাসি-ব্যক্তিগণের মধ্যে অনেকে বিবেচনা করেন যে, মতস্থির করিয়া নিয়মিত কাৰ্য্য কর অধীনতা মাত্র। স্বাধীনেচ্ছ চরিতার্থ করাই যথার্থ মুখের আদান। কিন্তু বিবেচনা করিয়া দেখিলে স্পষ্ট প্রতীয়মান হইবে যে, ঈদৃশ স্বাধীনত অধীনতার মায়াবী নাম গ্রহণ করিয়া অপবুদ্ধি ব্যক্তিদিগকে সৰ্ব্বনাশের কুপে নিপাতিত করে। যথেচ্ছ কাৰ্য্য করণকে কখনই স্বাধীনতা বলা যাইতে পারে না। মনুষ্য মাত্রেই পৃথিবীতে এরূপ অবস্থাপন্ন যে পরিমাণ এবং বিরতি ব্যতীত সৃষ্টিরক্ষা হয় না। সমাজের শাসন লঙ্ঘন করিয়া যথেচ্ছ ব্যবহার করিলে মুখ হওয়া দূরে থাকুক, বরং ভয়ানক ক্লেশোৎপাদিত হয়। এইরূপ সৰ্ব্বাবস্থায়, সৰ্ব্ব বিষয়ে এক একটা সীমা ধাৰ্য আছে। যদি সকলেই স্ব স্ব ইচ্ছাচুগত কাৰ্য্য করিত, তবে, কাহার সুখ থাকিত, কাহার শান্তি থাকিত, কাহার সম্পত্তি থাকিত আর কাহারই বা জীবন থাকিত ? যে অবস্থায় ন্যায় এবং সৎ প্রণালীর অধীন থাকিয়া, গাঢ় বিবেচিত কাৰ্য্য ; এবং বাহ্যিক কি আভ্যন্তরিক প্রতিবন্ধক না থাকিয়া, আত্ম মঙ্গলোৎপাদক কাৰ্য্যামৃষ্ঠান, করা যায় তাহাই প্রকৃত স্বাধীনত। যথার্থ স্বথেচ্ছ, জ্ঞানী ব্যক্তিরা ঈদৃশ স্বাধীনতার প্রার্থনা করেন। ইহার জ্যোতিঃ চন্দ্রমার বিমল প্রভাপেক্ষ মূহু ; আম্বাদ সুধাপেক্ষ মধুর। যিনি ইহার আশ্রয় গ্রহণ করেন র্তাহার মন সৰ্ব্বদা স্বাধীন, কাৰ্য অকপট ও গ্লানিশূন্ত, এবং আত্মা, সাহসী ও সুখী থাকে। পক্ষান্তরে, উষ্মার্গগামী পাপীদিগের মন সৰ্ব্বদাই অধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকে। তাহারা ইন্দ্রিয় সেবার দাস হইয়। সততঃ দুরাচার কার্য্য কলাপের বশবর্তী হয় । যিনি যতই পাপাচারী হউন না কেন, জীবনে এমন অনেক সময় আছে যখন স্বীয় প্রিয় কাৰ্য্য-কলাপের প্রতি ঘৃণারও উদ্রেক হয়। আত্মগ্লানি তখন ঈদৃশ ক্লেশদায়ক হইয় উঠে যে, অৰ- ' লম্বিত পথ সেই মূহুৰ্ত্ত হইতে পরিত্যাগ করিতে বাসনা হয় ; কিন্তু