পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

द्विठीझ अक्षोश्ा । । es কি পদস্থ, কি নির্জনবাসী সকলেই সভ্রমকে জীবনের একটা একৃষ্ট লক্ষ্য বলিয়৷ কাৰ্য্য করেন। র্যাহারা সংসারবিরাগী উদাসীন উহাদের জীবনের কার্য-জাতঃ অন্ত দিকে ধাবিত, তদ্ব্যতীত সংসারপরায়ণ লোক মাত্রেই সন্ত্রম-কেন্দ্রের চতুর্দিকে ভ্রমণ করে ; কিন্তু কিসে প্রকৃত সভ্রম উপলব্ধি হয় তাহা অল্প লোকের জ্ঞান আছে। যাহাতে মনুষ্য নামের যথার্থ গৌরব প্রতিপাদিত হইয়া, জন সাধারণ এবং স্বীয় আত্মা দ্বার প্রশংসিত হওয়া যায় তাহাই প্রকৃত সভ্রম। লর্ড বেকম্ বলেন “অকপট এবং সরল ব্যবহার মনুষ্য স্বভাবের গৌরব। মিথ্যার মিশ্র, সুবর্ণ এবং রজত মুদ্রার খাদের ন্যায়, তাহাতে ধাতুর কার্য্যকারিতা অপেক্ষাকৃত উত্তম হইতে পারে কিন্তু উহাকে অধম করে। ” মিথ্য। ব্যবহারে পার্থিব প্রতিপত্তি লাভ হইতে পারে ; কিন্তু উছাতে আত্মা নীচ হয়, সুতরাং আত্ম সন্ত্রম মিথ্যাচরণের নিকট আকাশ-কুসুম বৎ } আমরা প্রত্যহ শত সহস্র দৃষ্টান্তে অবলোকন করিতেছি অতি অধম ব্যক্তিও বিপুল ঐশ্বৰ্য সম্ভোগ করিতেছে। পটুগিজ দসু্য গঞ্জেলিস কুবের তুল্য ধনী হইয়াছিল ; কিন্তু জন সাধারণের নিকট সে কি প্রতিপত্তি পাইয়াছে ? তাহার মনই বা কি সুখ সম্ভোগ করিয়াছে ? এবম্বিধ বহুবিধ দৃষ্টান্তে আমরা দেখিতে পাই যে জগদীশ্বর ঈদৃশ ঔদাস্যতার সহিত ধন নিঃক্ষিপ্ত করিয়াছেন যে, আপামর সাধারণ সকলেই চেষ্ট। করিলে উহা কিয়ৎ পরিমাণে হস্তগত করিতে পারে। পরন্তু কৃপণের দৃষ্টান্ত কি নীতিপ্রদ ? ধনে যদি প্রকৃততঃ সভ্রমোৎপাদক কোন ঐন্দ্রজালিক ক্ষমতা থাকিত, তবে অর্থকৃচ্ছ্র ব্যক্তিরা উহাকে গহবরস্থ করিয়া কখনই দিবানিশি প্রহর দিত না । উচ্চ পদাভিষিক্ত অথব। সদ্বংশজাত হইলে প্রকৃত সভ্রমের কারণ হয় না। অসাধারণ ক্ষমত। নিবন্ধন যদি উচ্চপদাধিরূঢ় হওয়া যাইত, তবে উহাকে কিয়ৎ পরিমাণে সভ্রমপ্রদ বলা যাইতে পারিত, কিন্তু পৃথিবীতে পদ এবং সদগুণ প্রায়তঃ একত্র হয় না। কত শত প্রবঞ্চক, মিথ্যাচারী বিড়াশুন্য ব্যক্তির দিন দিন প্রধান প্রধান পদে অধিরূঢ় হইতেছে। জলবিন্ধের ন্যায় কিছু কাল স্ফীতদেহ এবং বাহ্য গৌরবান্বিত হইয়া আবার স্বকীয় মার্গরূপ