পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় । 84 একালে জমিদারের প্রজাদিগকে যে পাট দিয়া থাকেন তাহাতে * কমি বেশী সুরাত ”, এই তিনটী কথা প্রায় অপরিত্যজ্য । বলা বাহুল্য এই তিনটা কালান্তককাল সদৃশ শব্দই সকল অনর্থের মূল । ইহাতে জমিদারের লোভ থাকে জমা বেশী করার, প্রজার আশা থাকে কৰ্মী করার। সুতরাং সুযোগ মত সংগ্রাম বাধিয়া উঠে । ইহা সাধ্যানুসারে পরিহার করা নিতান্ত প্রয়োজন হইয়াছে। যখন একটী জমা বন্দোবস্ত করা আবশ্ব্যক হয়, তখন তদন্তর্গত জমির বিশেষ অবস্থা অবগত হইয়া ন্যায্য হারে কর ধাৰ্য্য করিয়া কাএমী পাট দিলে রাজ। প্রজী উভয়েরই অনিষ্ট হইতে পারে না। এইক্ষণ জমির সংখ্যা নিরূপণ করিয়া পাট দিতে হয়, সুতরাং অতিরিক্ত জমি প্রজার ভোগ দখলে থাকার সম্ভব থাকে না। পার্শ্ববর্তী তুল্য শ্রেণীর প্রজার তুল্য শ্রেণীর জমির জন্য যে নিরিখ দেয়, পরিশ্রম স্বীকার করিয়া, জমা বন্দোবস্তের সময়, তাহ স্থির করিয়া বন্দোবস্ত করিলে * কমি বেশী ’ নিয়ম দ্বারা জমা আবদ্ধ করার প্রয়োজন থাকে না । উৎপাদিকা শক্তি ও উৎপন্ন দ্রব্যের মুল্যবৃদ্ধি সম্বন্ধে স্থানান্তরে যাছ। কথিত হইয়াছে তাহাতেই প্রতীত হইবে যে, সে উপকার প্রজাকে ভোগ করিতে দেওয়াই কৰ্ত্তব্য । অতএব, যখন দেখা যাইতেছে যে পূৰ্ব্বে সতর্ক হইয়। জম বন্দোবস্ত করিলে পশ্চাৎ বৃদ্ধির কারণ থাকে না, তখন নিরর্থক “ কমি বেশী ” লিখিয়া ভবিষ্যৎ কলহের দ্বার মুক্ত রাখার আবশ্যক কি ? তদ্রুপ নিয়ম থাকার কুফল এই যে, কোন কারণে প্রজার সহিত সামান্য মনোভঙ্গ হইলে সেই নিয়মের সুবিধ। গ্রহণ করিয়া শঠতা, মিথ্যা ব্যবহার, অর্থনাশ ও সৰ্ব্বনাশের কারণ উপস্থিত হয়। অতএব, আমি বিবেচনা করি প্রজার সহিত বিবাদ ভঞ্জন করিতে হইলে কায়েমী পাট। দিবার চেষ্টা কর। কৰ্ত্তব্য। ভূম্যধিকারিগণ আর এক উপায় অবলম্বন করিলে প্রজার অনুরাগভাজন হইতে পারেন। তাছাতে প্রজায় প্রজায় বিবাদ ও তজ্জন্ম তাহাদিগের অর্থনাশ নিবারণ হয়, ভূম্যধিকারীও প্রতিষ্ঠা লাভ করিতে পারেন। প্রজায় প্রজায় বিবাদ হইলে এইক্ষণ আদালত ফৌজদারী