পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভজক, প্রথমতঃ মন্ত্ৰী নিৰ্ব্বাচন করা কর্তব্য। কিন্তু এই কাৰ্য্যটা অতি দুরন্থ যাহাকে সমস্ত গোপনীয় কথা বলিতে হইবে, যে ব্যক্তি শত সহজ প্রলোভন পরিহার পূর্বক বিশ্বস্ত ভাবে কার্য নিৰ্ব্বাহ করিবে, এমন কাৰ্য্যক্ষম ধৰ্ম্মজ্ঞ ব্যক্তি নিদেশ করা সহজ নহৈ । কার্যক্ষম অনেক ব্যক্তি সুপ্রাপ্য ; কিন্তু সরল, সত্যপরায়ণ, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মনুষ্য ভিন্ন মন্ত্রণ এবং রাজকাৰ্য্য সুচাৰুরূপে সম্পন্ন হয় না। কারণ, মমৃষ্যের মধ্যে ষত প্রকার বিশ্বাস আছে তন্মধ্যে মন্ত্রণ প্রদান এবং অপিত কাৰ্য্য ধৰ্ম্মতঃ নিৰ্ব্বাহ করা বিশ্বাসের সর্বপ্রধান অবয়ব । অতি সাবধানের সহিত প্রকৃত আলোচনা করিয়া এরূপ ব্যক্তিকে মন্ত্রিত্ব পদে নিযুক্ত করিতে হইবে, যাহার মন বিশেষরূপে জানা আছে এবং যে নিয়োগকৰ্ত্তার মন উত্তমরূপে জানে। এইরূপে উভয়ে পরম্পর সুপরিজ্ঞাত থাকিলে অনিষ্ট হুইবার সম্ভব বিরল। কিন্তু অনেক স্থলে .ঈদৃশ পরিজ্ঞাত মনুষ্য ভূপ্রাপ্য ; সে স্থলে মন্ত্রিত্বের সাধারণ গুণসম্পন্ন ব্যক্তিকে নিযুক্ত করিয়া পরে তাছাকে পরীক্ষা করিতে হইবে। যাহারা সত্যবাদী, জিতেন্দ্রিয়, জিতপ্রলোভন, স্পষ্টবাদী, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, সরল, কর্মঠ, চতুর, কৃতবিদ্য, অচঞ্চল এবং বিশ্বাসধারক তাহাদিগকে মঞ্জিত্ব প্রদান করা কৰ্ত্তব্য । গোপন অসহিষ্ণু এবং বাচালকে কখন বিশ্বাস করিবে না ; ইছারা কোন কথা গোপন রাখিতে, কিম্বা কোন কৰ্ম্ম দৃঢ়তার সহিত সম্পন্ন করিতে সক্ষম হয় না। অনেক মন্ত্রী আছে যাহারা সম্মুখে মতের বিপরীত কিছু না বলিয়া, কিম্ব তদ্বিৰুদ্ধে তর্ক না করিয়া, অনুজ্ঞার ন্যায় তাহা শিরোধাৰ্য্য করে ; অথবা কোন অন্যায় কাৰ্য্য প্রারব্ধ দেখিলেও বিরাগভাজন হইবার আশঙ্কায় চক্ষুস তাহার প্রতিবাদ করে না ; ঈদৃশ তীকস্বভাব মনুষ্য কখন মন্ত্রণার উপযুক্ত পাত্র নহে। ইংরাজি প্রবন্ধ লেখক সুবিখ্যাত হেল্পল ইহার একটি উত্তম উদাহরণ দিয়াছেন। মন্ত্রী দ্বিবিধ আছে ; এক প্রকার, দ্বাররক্ষক কুকুরের ন্যায়, আর এক প্রকার, মেষরক্ষক সারমেয় সদৃশ । ইছার মধ্যে মেষরক্ষকই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট । ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে অনেকে সমুজ্ঞাত কি নির্দিষ্ট,কাৰ্য্য ব্যতীত আর কিছুই করিতে ইচ্ছা কি সাহস