পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(१३ শিক্ষক । ভূম্যধিকারীদিগের এরূপ মানসিক ভাব হয় তবে তাহার। অবশুই ভয়ানক মুখ। অপ বেতনে ব্যয়ের লাঘবতা প্রতিপন্ন করা দূরে থাকুক, তাছাতে ভূয়িষ্ঠ অনিষ্ট উৎপাদিত হয়। এ দেশীয় জমিদারগণ সাধারণতঃ রাজকাৰ্য্য পর্যালোচনা করেন না ; অনেকের বোধ হয় করিবারও উপযোগী জ্ঞান ও ক্ষমতা বিরহ, সুতরাং তাহাদিগকে বৃত্তিভোগীর ধৰ্ম্ম এবং স্বেচ্ছাচারের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করিতে হয় । কিন্তু কৰ্ম্মচারীরা বেতনের লাঘবত নিবন্ধন আবশ্বকের বশবৰ্ত্তী হইয়। নান। উপায়ে অর্থার্জন করিতে বিবিধ পথাবলম্বন করে, এবং সুবিস্তীর্ণ বিশৃঙ্খল জমিদারী ক্ষেত্রে সুবিধা মত যাহা পায় তাহাই আত্মসাৎ করিয়া প্রভুর চক্ষে ধূলি দেয় । সত্য বটে, ভূম্যধিকারীরা অধিক বেতনে এক একজন প্রধান কাৰ্য্যাধ্যক্ষ রাখিয়া থাকেন ; কিন্তু তাহার। কত নিবারণ করিতে পারেন, কতই বা দেখিতে বা জানিতে পারেন ? যাহার অপহরণ করাই স্বভাব, তাহাকে কে প্রহর দিয়া সম্যক্ নিরস্ত রাখিতে পারে ? ইহাও বরং অবিরল নহে যে, অধীনদিগকে শাসন করা দূরে থাকুক, প্রধান কৰ্ম্মাধ্যক্ষগণ তাহাদিগের সহিত যোগ দিয়া আপনারাও ভূস্বামীকে বঞ্চনা করেন। এইরূপে দর্শিত হইল, অপ বেতন অনিষ্টের একটা মুখ্য কারণ ; কেনই বা ন হইবে ? যাবৎ আবশ্বক মোচন না হয়, তাবৎ মনুষ্য নান। উপায়ে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করে ; কিন্তু তাহাদিগের মধ্যে কতজন আছে যাঙ্গর ধর্মের দিকে দৃষ্টি রাখিয়া কাৰ্য করে? বোধ হয় ঈদৃশ ব্যক্তি আতি বিরল। অামার বোধ হয়, বেতনের এই নিয়ম কর। কৰ্ত্তব্য যে যাহার হস্তে যেরূপ দায়িত্ব এবং যাহার যাদৃশ প্রলোভন তাহাকে তদনুরূপ অধিক বেতন দেওয়া হয়। একজন নায়েবের হস্তে অনেক দায়িত্ব, সে প্রলোভনাকীর্ণ, ইচ্ছা করিলেই অধিক অনিষ্ট করিয়া অপহরণ করিতে সক্ষম ; সুতরাং তাহাকে যত বেতন দিতে হইবে, একজন দায়শূন্য মোহরেরকে তত দেওয়া বিহিত নহে। এটা একটা সামান্য দৃষ্টান্ত মাত্র, ফলে এইরূপ নিয়মে বেতনের মূনাতিরেক গণনা করা কর্তব্য ।