শিক্ষার বিকিরণ
ভোজ্য জিনিষে ভাণ্ডার উঠল ভরে, রান্নাঘরে হাঁড়ি চড়েচে, তবু ভোজ বলে না তাকে। আঙিনায় পাত পড়ল কত, ডাকা হয়েচে কত জনকে সেই হিসাবেই ভোজের মর্য্যাদা। আমরা যে-এডুকেশন শব্দটা আবৃত্তি করে মনে মনে খুসি-থাকি সেটাতে ভাঁড়ার ঘরের চেহারা আছে কিন্তু বাইরে তাকিয়ে দেখি ধূ ধূ করচে আঙিনা। শিক্ষার আলোর জন্যে উঁচু লণ্ঠন ঝোলানো হয়েচে ইস্কুলে কলেজে, কিন্তু সেটা যদি রুদ্ধ দেয়ালে বন্দী আলোক হয় তাহলে বলব আমাদের অদৃষ্ট মন্দ। সমস্ত পটজোড়া ভূমিকার মধ্যেই ছবির প্রকাশ, তেমনি পরিস্ফুটতা পাবার জন্যে শিক্ষা চায় দেশজোড়া ভূমিকা। ব্যাপক ভূমিকাভ্রষ্ট শিক্ষা কতই অস্পষ্ট অসম্পূর্ণ কেবল অভ্যাস বশতই তার দৈন্যের বেদনা আমাদের মন থেকে মরে গিয়েচে। এডুকেশন নিয়ে অন্য দেশের সঙ্গে স্বদেশের যখন তুলনা করি তখন দৃশ্য অংশটাই লক্ষ্য করি, অদৃশ্য অংশের হিসাব রাখিনে। মিলিয়ে দেখি য়ুনিভর্সিটি সেখানেও আছে, আমাদের দেশেও তার