পাতা:শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত - মানদা দেবী.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত
১৪৫

এই পাপের ভাগী। সে রাত্রিতে গানে আমার মন লাগিল না। আমি এই বধূটির সহিত কথাবার্ত্তার সুযোগ খুঁজিতে লাগিলাম।

 আমোদ-প্রমোদ আরম্ভ হইল। জমিরার ও তাঁহার বন্ধুগণ মদ্যপান করিতে লাগিলেন। আমি দুই একটি গান গাহিলাম। অন্যান্য বেশ্যারাও তারপর নাচিতে গাহিতে আরম্ভ করিল। আমি গরমের অছিলায় বাহিরে আসিবার সময় সেই বন্ধুটিকে আস্তে আস্তে বলিলাম “চল, একবার বাগানে বেড়াইয়া আসি।” আমরা উভরে পুকুরের ঘাটে একটি বেদীর উপরে বসিলাম। তাহার সহিত আমার অনেক কথা হইল। তাহার সার মর্ম্ম এই— বধূটির নাম অপরাজিতা দেবী। সে ব্রাহ্মণ কন্যা। বর্দ্ধমান জেলার কোন গ্রামে তাহার পিত্রালয়। কলিকাতার কোন মুখোপাধ্যায় যুবকের সহিত নাকি বিবাহ হইয়াছে। তাহার স্বামী পিসিমার কাছে থাকেন। এই পিসিমায়েরা কয়েক ভগ্নি, নিজ নিজ বাড়ীতে বাস করেন। তাহার স্বামীর পিতামাতা বা অপর কোন আত্মীয় স্বজন বোধ হয় নাই। তিনি অতি নিরীহ ও শান্ত স্বভাব। সর্ব্বদা পিসিমার মন যোগাইয়া চলেন। পিসিমার মৃত্যুর পর বাড়ী ও নগদ টাকা নাকি পাইবেন, ইহা তাঁহার আশা ছিল।

 অপরাজিতার পিসশাশুড়ী নাকি বিধবা অবস্থায়........ অর্থ উআর্জ্জন করিয়াছেন, এইরকম দুর্ণাম আছে। এক্ষণে বর্দ্ধক্যে নিজে অশক্ত হওয়ায় ভ্রাতুষ্পুত্রের বধুদের সতীত্বের বিনিময়ে অর্থ উপার্জ্জন করেন। অপরাজিতার স্বামীর পুর্ব্বে আরও দুইবার বিবাহ হইয়াছিল। পর পর সেই দুইটি বধুর অগ্নিদাহে মৃত্যু