পাতা:শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত - মানদা দেবী.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭২
শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত

দামী পোষাক ছিল, তাহা বিক্রয় করিয়া কিছু টাকা সংগ্রহ হইল। ক্রমে ক্রমে আমার গহনাগুলিও বিক্রয় করিলেন। আমার বিমাতা জন্মদিনের উপহার স্বরূপ আমাকে যে একছড়া সোনার হার দিয়াছিলেন, তাহা আমি বিক্রয় করিতে দিব না বলিয়া লুকাইয়া রখিয়াছিলাম। এই অপরাধে আমার উপর খুব মারধর ও বকুনি হইল। আজকাল কথায় কথায় লাথি, চড়-চাপড় এসব আমার ভাগ্যে জুটিত। আমি কেবল কাঁদিয়া কাঁদিয়া তাহা সহ্য করিতাম।

 রমেশদা আমাকে একদিন বলিলেন, “কমলাকে কিছু পাঠাইতে চিঠি লেখ।” আমি বলিলাম, কমলা দরিদ্র ঘরের মেয়ে, সে টাকা পাইবে কোথায়?” ইহা লইয়া রমেশদা আমার উপর খুব রাগ করিলেন। আমি অগত্যা কমলাকে চিঠি লিখিলাম। সে কুড়িটাকা পাঠাইল। তাহাও কয়েকদিনেই ফুরাইয়া গেল!

 আমার দুই একখানা দামী কাপড় ও গহনা তখনও ছিল। রমেশদা নানা কৌশলে তাহা আমার নিকট হইতে নিয়া বিক্রয় করেন। কেবল সেই সোণার হারছড়া তখনও আমি দেই নাই। একদিন তিনি আসিয়া বলিলেন “মানু, বৃন্দাবনে প্রেম-মহাবিদ্যালয়ে একটা প্রফেসারী কাজ পেয়েছি। রাজা মহেন্দ্র প্রতাপের সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। লোকটা ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টের ভয়ানক বিরোধী। আমারও সেইভাব, তুমিত জানই। রাজা খুব খুসী হলেন। আমাকে এখন মাসিক একশত টাকা বেতন দিবেন।” আমি শুনিয়া অতিশয় আহলাদিত হইলাম।

 রমেশদা চিন্তাকুল চিত্তে কহিলেন “একসুট পোষাক