পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 & শিখগুরু ও শিখজাতি গুরু ঐ সকল জাত্যভিমানীদের প্রতি ফিরিয়াও চাহিলেন না । তিনি পতিতকে টানিয়া তুলিয়া তাহার সম্প্রদায়ের বলবদ্ধি করিতে লাগিলেন। তাহার আদেশে এতকালের অস্পৃশ্য শিখের অমৃতসরের মন্দিরে প্রবেশ ও সরোবরে স্নান করিবার অধিকার পাইল । অল্পসংখ্যক প্রথাভিমানী দাস্তিক গুরুকে ছাড়িয়া গেল, কিন্তু সহস্ৰ সহস্ৰ নীচবর্ণের ব্যক্তি উচ্চ অধিকার লাভ করিয়। তাছার নিমিত্ব প্রাণপৰ্য্যস্ত পরিত্যাগ করিতে প্রস্তুত হইল। হিন্দু, মুসলমান, ব্রাহ্মণ, শূদ্র জাতিবর্ণনিৰ্ব্বিশেষে সকলেই শিখ হইবার অধিকার পাইল পাহল’ শব্দের মূল অর্থ দরজা ; গুরু গোবিন্দ তাহার সর্ববর্ণের শিষদিগকে দীক্ষামন্ত্র দান করিয়া তাহাদিগকে ধৰ্ম্মরাজ্যের দ্বারে উপনীত করিলেন। গুরু গোবিন্দ তাহার ধৰ্ম্মসম্প্রদায়কে কেবল ধৰ্ম্মবলের নহে, বাহুবলের ভিত্তিতেও প্রতিষ্ঠিত করিবার সংকল্প করিয়াছিলেন । এই কারণে খালসাদিগকে যুদ্ধানুরাগী করিয়া তুলিবার নিমিত্তই তিনি তাহাদিগকে বীরত্বব্যঞ্জক সিংহ • উপাধিতে ভূষিত করিয়াছিলেন এবং নিয়ম করিয়াছিলেন যে, প্রত্যেক খালসা শিখকে কৃপাণ, কড় অর্থাৎ লৌহবলয় কচ্ছ’ বা ছোট পায়জামা, কঙ্গি ’ বা চিরুণি ও কেশ সাম্প্রদায়িক চিহ্নস্বরূপ ধারণ করিতে হইবে। শিষদিগকে যুদ্ধ-মদে মাতাইয়া তুলিবার নিমিত্তই তিনি তাহাদিগকে সৰ্ব্বদা অস্ত্ৰধারণ করিতে উপদেশ দিয়াছিলেন। গুরু গোবিন্দের মতে, সেই প্রকৃত শিখ, যে পুনঃপুনঃ পরাজিত হইয়াও বিন্দুমাত্র ভীত হয় না। তিনি ভীরুতাকে নিকৃষ্টতম পাপ এবং যুদ্ধ-ক্ষেত্রে সাহস-প্রদর্শনকেই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ গুণ বলিয়া ঘোষণা করিয়াছিলেন । বীরঙ্গদয় গোবিন্দ সিংহ তরবায়িকে গভীর শ্রদ্ধা দেখাইতেন । তিনি তাহার হস্ত-স্থিত তরবারিকে সম্বোধন করিয়}