পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮২ শিখ-ইতিহাস নহে ॥৬৫ সময়ে সময়ে অমৃতসরের জলাশয়ে অবগাহন করা কর্তব্য ; শিহুদিগের মস্তক -মুগুন নিষিদ্ধ। তাহারা সকলেই "সিং" অর্থাৎ সৈন্য-সম্প্রদায় বলিয়া পরস্পরকে সম্বোধন করিবে। জড় পদার্থসমূহের মধ্যে কেবল অস্ত্রের প্রতি তাহার সম্পূর্ণরূপ অনুরক্ত থাকিবে ৬৬ অস্ত্রশস্ত্রে তাহাদের দেহ সর্বদা ভূষিত থাকিবে ; তাহারা সর্বদা যুদ্ধে নিযুক্ত থাকিবে । সম্মুখ সমরে প্রবৃত্ত হইয়া যে ব্যক্তি শত্রু নিধন করিতে পারিবে,—তাহারই জীবন সার্থক ; পরাজিত হইয়াও যে হতাশ হইবে না,—সেও ধন্য ; তাহাদের মহিমাই অতুলনীয় । তিনি স্বধৰ্ম-বিরোধী তিনটি সম্প্রদায়ের সহিত সংশ্রব পরিত্যাগ করিলেন । যাহারা অর্জনের ধ্বংসের জন্য চেষ্টা করিয়াছিল, সেই ধীরমলী সম্প্রদায়কে —তাঁহার পিতার নিধনকল্পে যাহার সাহায্য করিয়াছিল, সেই রামরায়ের দলকে ;— এবং যাহারা র্তাহার নিজ ক্ষমতা বিস্তারের অন্তরায় হইয়াছিল,—সেই মুসান্দীদিগকে, গোবিদ পরিত্যাগ করিলেন। তিনি সমস্ত মুণ্ডিত ব্যক্তিদিগকে অথব! হিন্দু-মুসলমানদিগকে ঘৃণা করিতেন। তৎকালে কতকগুলি অধাৰ্মিক লোক কুসংস্কারের বশবর্তী হইয়া শিশু-কন্যা হত্যা করিত ; গোবিন্দ সেই নৃশংসদিগের বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইয়াছিলেন। কিন্তু কোন রাজ্যের কুশল হউক। ) -ইহা প্রমাণ-সিদ্ধ নহে। কিন্তু পূর্ব বর্ণিত বাক্যটি সচরাচর ব্যবহৃত হওয়ায়, উহ। শিখদিগের অভ্যন্ত হইয়াছে। ‘দেগ’ ও ‘তেগ’ শব্দদ্বয়ের মধ্যে যে গুঢ়তত্ত্ব নিহিত রহিয়াছে, গোবিন্দ তাহারই বুৎপত্তি প্রতিপাদনের চেষ্টা করেন। এই শব্দদ্বয় শিন্যদিগের অভিবাদনের স্বত্ররূপে নির্দিষ্ট না হইলেও, গোবিন্দ যে নীতি প্রদান করিয়াছিলেন, তাহারই ফলে এই অভিবাদনের স্বষ্টি হইয়াছে। “আদিগ্রন্থ" বহু খণ্ড ও অধ্যায়ে বিভক্ত। সেই খণ্ড ও অধ্যায়গুলির অধিকাংশ সংখ্যার প্রথমেই একো উনকর, সাথ গুরু-প্রসাদ প্রভৃতি বাক্য লিখিত আছে। অদ্বিতীয় পরমৃেদ্ধর ও পরম সুখী গুরুর কৃপাসেই শব্দগুলির প্রকৃত অর্থ। দশম পাদস কা গ্রন্থের অর্থাৎ "পরমেশ্বর অদ্বিতীয় এবং গুরুর ঈশ্বর-প্রদত্ত ক্ষমতা’,–এই সকল লিখিত আছে !

  • গুরু রত্নাবলীর" শিখ-গ্রন্থকার "ওয়া গুরু" । প্রভৃতি সম্বোধনের সার্থকতা প্রতিপাদনের চেষ্ট৷ করিয়াছেন। তিনি যে মূলীভুত কারণ নির্দেশ করিয়াছেন, তাহা কাল্পনিক ও অকিঞ্চিৎকর বলিয়া

মনে হয়,— "ওয়াসদেও ( বাসুদেব), প্রথম যুগ বা সত্যযুগের সম্বোধন হর হর, দ্বিতীয় বা ক্রেতাযুগের সম্বোধন ; গোবিন্দ গোবিন্দ, তৃতীয় বা দ্বাপর যুগের সম্বোধন, রাম রাম, চতুর্থ যুগ বা কলি যুগের সম্বোধন ; - ইহা হইতেই এই পঞ্চম যুগ বা নব-বিধানের ‘ওয়া ( বাহবা ) গু ক্ল’ (Wah Goo Roo ) নিপন্ন হইয়াছে। ৬৫ । “রিহিত নামে অথবা গোবিন্দ-জীবনের নিয়মাবলীতে একমাত্র "গ্রন্থের প্রতি ভক্তি প্রদর্শনের বিষয়ই আদিষ্ট হইয়াছে। শিষ্ট্রগণের অনেকেই গোবিন্দকে ঈশ্বর বলিয়া মনে করিত। তাহাদের এই কার্যের জন্ত শুক্ল তাহাদিগকে ঘৃণা করিতেন। এইরূপে গোবিন্দ শিল্পগণের পৌত্তলিকতা ধ্বংস করিয়াছিলেন। ৬৬। শিখ-জাতি লৌহের প্রতি ভক্তি প্রদর্শন করিত। তৎসম্বন্ধে নিম্নলিখিত গ্রন্থ এষ্টব্য। যথা—. Malcolm, ‘Sketch', i. 48, p. 117 note, and p. 182, note.