পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/৪৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ পরিশিষ্ট রচনা স্থান পাইয়াছে, তৎসমুদ্ৰায়ের প্রমণ-পরম্পরা সন্দেহ-মূলক। সেই সকল বিষয় মানিয়া লওয়ার উচিত্য বিষয়েও, বিবিধ কারণে নানা তর্ক-বিতর্ক উঠিতে পারে। পঞ্চম গুরু অৰ্জ্জুন প্রথমতঃ এই গ্রন্থ সঙ্কলন করেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে অৰ্জ্জুনের স্বলাভিষিক্ত পরবর্তী শিখ গুরুগণ গ্রন্থের সহিত অন্যান্য বিষয় সংযোজিত করিয়া প্রকাশ করিয়াছেন। ‘গ্রন্থখানি পষ্ঠে লিখিত। প্রথম হইতে শেষ পর্যস্ত নানা ছন্দ ও অলঙ্কারযুক্ত অসংখ্য পদ্য তাঁহাতে সন্নিবিষ্ট । পদ্যগুলি উত্তর ভারতে প্রচলিত হিন্দী ভাষায় রচিত। পঞ্জাবের কোন নির্দিষ্ট ভাষায় সে গ্রন্থ’ লিখিত হয় নাই। কিন্তু 'গ্রন্থের কোন কোন অংশ, প্রধানতঃ শেষ ভাগ, সংস্কৃত ভাষায় মুদ্রিত। অধুনা ভারতবর্ষে প্রচলিত বহু ভাষা ও বর্ণমালার মধ্যে ‘পঞ্জাবী' ভাষায় বর্ণমালায়ই ‘গ্রন্থের আদ্যোপাস্ত মুদ্রিত হইয়াছে। শিখ গুরু বা শিক্ষকগণ সচরাচর সেই ভাষা ব্যবহার করিতেন বলিয়া, সেই ভাষা বা বর্ণমালা সময় সময় গুরুমুখী’ নামে অভিহিত হইয়া থাকে ; পঞ্জাবের প্রচলিত ভাষাও সেই গুরুমুখী’ নামে পরিচিত। আধুনিক শিখগণ মনে করে, লাহোরের দক্ষিণপশ্চিমবর্তী প্রদেশ-সমুহে প্রচলিত প্রাদেশিক ভাষা, নানকের রচনায় স্থান পাইয়াছে। তাহাদের মতে, অজুন যে ভাষা ব্যবহার করিয়াছেন, তাহাই সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ। এই গ্রন্থ, ( বড় বড় পৃষ্ঠার ৪ পেজি ফর্মার) ১২৩২ পৃষ্ঠায় সম্পূর্ণ! প্রত্যেক পৃষ্ঠায় ২৪টা করিয়া পংক্তি, এবং প্রত্যেক পংক্তিতে ৩৫টা করিয়া অক্ষর। অতিরিক্ত গ্রন্থ সন্নিবিষ্ট হওয়ায়, এই গ্রন্থের পত্রাঙ্ক কিছু বৃদ্ধি পাইয়াছে ; পরিশিষ্ট সমেত গ্রন্থে ১২৪০ পৃষ্ঠা আছে। ‘আদি গ্রন্থের নির্ঘণ্ট । ১ম । ‘জপজি’ বা সাধারণতঃ ‘জপ',— ইহার অপর নাম "গুরু-মন্ত্র" ; দীক্ষাকালে এই স্তোত্র পাঠ করিতে হয়। এই অংশ প্রায় সাতটা পৃষ্ঠায় সম্পূর্ণ। চল্লিশট শ্লোক বা “পাউরির" সকলগুলির পরিমাণ সমান নহে ; কতকগুলি দুই লাইনে, কতকগুলি আবার বহু লাইনে সমাপ্ত। ‘জপ’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ—স্বরণ করা। প্রকৃত অর্থে, ইহাতে স্মরণ বা উপদেশ বুঝায়। নানকই, জিপজি বা ‘জপ’ রচয়িত । সাধারণতঃ কথিত হয়, নানক শিষুদিগকে প্রত্যুষে এই স্তোত্র পাঠ করিতে উপদেশ দেন। অধুনা প্রত্যেক ধর্মপরায়ণ শিখ, গুরুর উপদেশাহুযায়ী কার্য করিয়া থাকে। এই অংশে একজন প্রশ্নকর্তা এবং একজন উত্তরদাতা, রচনাপ্রণালী হইতে তাহ সহজেই বুৰঞ্জযায়। শিখদিগের বিশ্বাস,—নানকের প্রিয় শিন্য অঙ্গদই সেই প্রশ্নকর্তা। ২য় । ‘সোদার রাই রাস',—শিখদিগের সান্ধ্য বা সায়াহ্ন স্তোত্র। সাড়ে তিন পৃষ্ঠায় এই অংশ সম্পূর্ণ। এই অংশ নানক বিরচিত ; কিন্তু রামদাস ও অজুনের রচনাও পরে ইহাতে সংযোজিত হইয়াছে। কথিত হয়, গুরু গোবিন্দও কতকাংশে