পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থকারের ভূমিকা যথোপযুক্ত পাণ্ডিত্যের পরিচয় প্রদান করিতে অক্ষম, অথচ কঠোর কর্মক্ষেত্রে সাধারণের সমক্ষে পরিশ্রমের সার্থকতা প্রতিপন্ন করিতে উৎসুক সে ক্ষেত্রে পাঠকগণের নিকট দেখান কর্তব্য,—কিসূত্রে, কিউপায়ে সঠিক উপাদান প্রাপ্ত হইয়া, অবশেষে ন্যায় সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গিয়াছে। ১৮৩৭ খ্ৰীষ্টাব্দের শেষ . ভাগে, লর্ড অকল্যাণ্ডের অযাচিত অকুগ্ৰহে, গ্রন্থকার, কর্ণেল ওয়েডের সহকারিত্ব পদ প্রাপ্ত হন। কর্ণেল ওয়েড লুধিয়ানায় ‘পোলিটিকাল এজেণ্টের পদে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন ; পঞ্জাব এবং আফগানিস্থানের সামন্তবর্গের সহিত বৃটিশ গবর্ণমেণ্টের সম্বন্ধ সংক্রান্ত সমস্ত কার্য নির্বাহের ভার তাহার উপর অপিত ছিল। ফিরোজপুর সহরের দৃঢ়তা সম্পাদনের জন্য, তাহার একজন ইঞ্জিনিয়ারের আবগুক হয়। ফিরোজপুরের জায়গীরদারের কোন উপযুক্ত উত্তরাধিকারী না থাকায়, সেই ক্ষুদ্র সহর বৃটিশ গবর্ণমেণ্টের অধিকারভুক্ত হইয়াছিল ; এক্ষণে সামরিক রীতি অনুসারে সেই সম্বরের দৃঢ়তা সম্পাদন আবশ্বক হইল। উদেশ্ব সাধন বিষয়ে কর্ণেল ওয়েডের অভিপ্রায়, তৎকালিন প্রধান সেনাপতি সার হেনরি ফেন অকুমোদন করেন । কিন্তু সামান্য প্রাচীর দ্বারা ঐ নগর বেষ্টন করা অপেক্ষ অপর কোন উপায় অবলম্বন শ্রেয়ঃ বলিয়া মনে হয়। তবে এই সময়ে সা স্বজাকে সিংহাসনে পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে শিখ-গবর্ণমেণ্টের সহিত একমত হইবার জন্য, বৃটিশ গবর্ণমেণ্ট ফিরোজপুরের দৃঢ়তা সম্পাদন কিছুদিনের জন্য স্থগিত রাখেন। এই হেতু ফিরোজপুর অনেক দিন পর্যন্ত সামান্য সেনানিবাস রূপেই পরিণত ছিল ; এবং সেই সেনানিবাস অশ্বারোহী দস্থ্যদলের আক্রমণ হইতে যুদ্ধোপকরণাদি রক্ষা করিতে ক্কচিৎ সমর্থ হইত। ১৮৩৮ খ্ৰীষ্টাব্দে মহরোজ রণজিত সিংহের সহিত লর্ড অকল্যাণ্ডের যখন সাক্ষাৎ হয়, গ্রন্থকার তথায় উপস্থিত ছিলেন । ১৮৩৯ খ্ৰীষ্টাব্দে সাহাজাদ তাইমুর এবং কর্ণেল ওয়েডের সহিত তিনি পেশোয়ারেও গমন করিয়াছিলেন ; তাহারা যখন জোর করিয়া খাইবার-পাশ গিরিসঙ্কট অতিক্রম পূর্বক কাবুলের পথে অগ্রসর হন, গ্রন্থকার সেই সময়ে র্তাহীদের সহিত বিদ্যমান ছিলেন। ১৮৪০ খ্ৰীষ্টাব্দের লুধিয়ানা জেলার শাসনভার গ্রন্থকারের হস্তে অপিত হয়। ঐ খ্ৰীষ্টাব্দের শেষভাগে সীমান্ত প্রদেশের নূতন এজেন্ট মিষ্টার ক্লার্ক কতৃক মনোনীত হইয়া, কর্ণেল সেন্টন এবং তাহার সাহায্যকারী সেনাদলের সহিত গ্রন্থকার পেশোয়ারে গমন করেন। কর্ণেল হুইলারের পরিচালিত, দোস্ত মহম্মদ